Thank you for trying Sticky AMP!!

ট্রাম্পকে সাহায্য করতে চেয়েছিল রাশিয়া: কোমি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ক্ষতি আর রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহযোগিতা করতে চেয়েছিল রাশিয়া। এ কথা বলেছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান জেমস কোমি।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে গতকাল সোমবার শুনানিতে কোমি এ কথা বলেন। তবে এ নিয়ে ট্রাম্পের প্রচার শিবির ও রুশদের মধ্যে কোনো যোগাসাজশ ঘটেছিল কি না, জানতে চাইলে কোমি বলেন, এফবিআই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তদন্তাধীন কোনো বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। গোয়েন্দা-সংক্রান্ত কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা অ্যাডাম শিফ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প টাওয়ারে আড়ি পেতেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওবামা—ট্রাম্পের এ অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দেন এফবিআইয়ের প্রধান। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের টুইটার বার্তাকে আমি সম্মান করি। কিন্তু ওই টুইটার বার্তার সমর্থনে কোনো প্রমাণ পাইনি আমরা। এফবিআইয়ের পাশাপাশি বিচার দপ্তরও তদন্ত করে অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ পায়নি।’
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির সার্ভার হ্যাক হয়। তখন থেকেই নির্বাচনে সম্ভাব্য রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে আসছিলেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা রাশিয়া-ট্রাম্প যোগসাজশের এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। ধারণা করা হচ্ছিল, এফবিআই বিষয়টি তদন্ত করছে। কিন্তু এ নিয়ে এত দিন মুখ খোলেননি সংস্থাটির প্রধান কোমি।
তবে গতকাল প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা-সংক্রান্ত কমিটির সামনে শুনানিতে কোমি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হিলারিকে ঘৃণা করেন। এ কারণেই হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সাহায্যের চেষ্টা করেন পুতিন। কোমি বলেন, ‘তারা (রাশিয়া) চেয়েছিল আমাদের গণতন্ত্রের ক্ষতি করতে, তাঁর (হিলারি) ক্ষতি করতে এবং তাঁকে (ট্রাম্প) সাহায্য করতে। গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই বিষয়টি আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।’
এফবিআইয়ের প্রধান বলেন, ‘তারা (রাশিয়া) আবার ফিরে আসবে। তারা ২০২০ সালের নির্বাচনের সময় ফিরে আসতে পারে। এমনকি ২০১৮ সালে সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময়ও ফিরে আসতে পারে।’
এর আগে শুনানির শুরুতে প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা-সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিন নানস বলেন, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির এবং রাশিয়ার মধ্যে যোগসাজশের অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে কংগ্রেসের শুনানি চলাকালে কয়েক দফা টুইট করেন ট্রাম্প। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, এফবিআই এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা কংগ্রেসকে জানিয়েছে, রাশিয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেনি।