Thank you for trying Sticky AMP!!

ট্রাম্পের নতুন সরকারে কারা থাকছেন?

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন সরকারে অন্তত চার হাজার শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। এর মধ্যে মার্কিন সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের ওপর থেকে নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির অনেকেই সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। দলের ছোট অংশের সমর্থনই জুটেছিল ট্রাম্পের প্রতি। সরকার গঠনে তাই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে ঘনিষ্ঠজনদের ট্রাম্প প্রাধান্য দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের প্রচারণা দলের কয়েকজন উপদেষ্টা গতকাল বুধবার জানিয়েছিলেন, নতুন কেবিনেট ও হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর জন্য পছন্দের প্রার্থী বাছাই শুরু করেছেন।

মন্ত্রিসভার সদস্য ও উপদেষ্টাদের মধ্যে একেবারে ঘনিষ্ঠজনেরা নিয়োগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে আলাবামার সিনেটর জেফ সেশনস, ট্রাম্পের ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ারম্যান স্টিভেন নুচিন, নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডলফ ডব্লিউ জুলিয়ানি, নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি ও প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার নিউট গিংরিচ রয়েছেন।

চিফ অব স্টাফ হিসেবে জুলিয়ানি, ক্রিস্টি ও গিংরিচের বাইরে যে ব্যক্তির নাম উঠে আসছে, তিনি হলেন রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান রাইন্স প্রিবাস।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে একজনের নামই শোনা যাচ্ছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সির সাবেক পরিচালক মাইকেল ফ্লিয়েন। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি ইরাক ও আফগানিস্তানে কাজ করেছেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রথমেই বিবেচিত হচ্ছে আলাবামার সিনেটর জেফ সেশনসের নাম। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও জেফের স্থান পাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এ পদে নিউট গিংরিচ ছাড়া অন্য যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁরা হলেন আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো জন বোল্টন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা রিচার্ড হ্যাস ও টেনেসির সিনেটর বব কোরকার।

রুডি জুলিয়ানি মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক বা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা-বিষয়ক মন্ত্রী হতে পারেন।