Thank you for trying Sticky AMP!!

ট্রাম্পের ভাষণে ঐক্যের ডাক

প্রথম ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টি—উভয় দলের নেতা-কর্মীদের মতভেদ ভুলে অভিবাসন ও অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ডে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ওয়াশিংটনে প্রথম ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে এ কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টায় (বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটা) ভাষণ শুরু করেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ‘এক লক্ষ্যে কাজ করতে আজ আমি আমাদের সব বিভেদ সরিয়ে রাখার কথা বলছি। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের যা প্রাপ্য, অর্থনীতির জন্য যা প্রয়োজন, সেই নিরাপত্তা, দ্রুততা, নির্ভরযোগ্যতা এবং আধুনিক অবকাঠামো দেওয়ার বিষয়ে উভয় দলকে এক হওয়ার আহ্বান জানাই।’ গত এক বছরে ট্রাম্প প্রশাসন অবিশ্বাস্য অগ্রগতি ও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য নতুন সময়। আমাদের স্বপ্ন নিয়ে বাঁচার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর তৈরি হয়নি।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকা নির্মাতার জাতি। আমরা এক বছরে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং তৈরি করেছি। এটা কোনো পাগলামি নয়।’ ট্রাম্প আরও বলেন, নির্বাচনের পর থেকে প্রায় ২৪ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ কর্মসংস্থান শিল্প খাতে। যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘নতুন সড়ক, সেতু, মহাসড়ক, রেলপথ ও নৌপথ তৈরি করব আমরা।’

উন্মুক্ত সীমান্তের বিষয়ে নিজের কঠোর অবস্থানের কথা আবারও তুলে ধরলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য অবারিত সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়া দুষ্কৃতকারীদের দায়ী করেন তিনি। ‘স্টেট অব ইউনিয়ন’ ভাষণের স্থলে উপস্থিত ছিলেন এমএস-১৩ (থারটিন) নামের কুখ্যাত গোষ্ঠীর হাতে নিহত দুই শিশুর মা-বাবারা। তাঁদের দিকে তাকিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘পুরো যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শোকের সমব্যথী। উন্মুক্ত সীমান্ত বয়ে এনেছে অস্ত্র, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আর এতে প্রাণ গেছে নিরীহ মানুষের।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা তাঁর দায়িত্বের অংশ বলে ঘোষণা করে ট্রাম্প বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে।