Thank you for trying Sticky AMP!!

ট্রাম্পের মুখে মাস্ক

গতকাল শনিবার ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শনের যান ট্রাম্প। সেখানে তাঁকে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরার ওপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মাস্ক পরতে দেখা যায় না। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতালে যান ট্রাম্প। সেখানে আহত সৈনিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি মাস্ক পরেছিলেন।

গতকাল হোয়াইট হাউস থেকে বের হওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মাস্কের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু আমার মতে, সেটা পরার জন্য নির্দিষ্ট সময় ও জায়গা রয়েছে।’ হাসপাতালে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, যখন আপনি হাসপাতালে থাকবেন, যখন আপনার অনেক সৈনিক ও লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যাঁদের কেউ কেউ মাত্রই অপারেশন টেবিল থেকে ফিরেছেন, তখন মাস্ক পরা খুব ভালো।’

এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি মাস্ক পরবেন না। মাস্ক পরা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনকে ব্যঙ্গও করেন তিনি।

গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পুরোপুরি মাস্কের পক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, মাস্ক পরলে তাঁকে দেখতে অনেকটা ‘লোন রেঞ্জারের’ মতো লাগে। লোন রেঞ্জার হচ্ছে মার্কিন কল্পকাহিনির একজন নায়ক, যে তার আদিবাসী বন্ধু টোনটোর সঙ্গে মিলে পশ্চিমা আমেরিকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করত।

এপ্রিলে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সবাইকে জনসমক্ষে মাস্ক পরার সুপারিশ করে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সেটা করবেন না। ট্রাম্প বলেন, ‘মুখে মাস্ক পরে আমি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরশাসক, রাজা, রানিদের স্বাগত জানাচ্ছি—এমনটা ভাবতে পারি না।’

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুসারে সহকারীরা বারবার ট্রাম্পকে মাস্ক পরতে বলেছেন। তবে ট্রাম্প তাতে কান দেননি।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ৬৬ হাজার ৫২৮ জন।