Thank you for trying Sticky AMP!!

ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্প ফ্লোরিডায় বসে কলকাঠি নাড়ছেন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডার মার এ লাগোতে রয়েছেন। এখানেই থাকবেন তিনি। অবশ্য সেখানে ব্যস্ত নানা কাজ নিয়ে ট্রাম্প। ফ্লোরিডার উষ্ণ আবহাওয়ায় বসে কলকাঠি নাড়ছেন তিনি। তাঁর সমর্থকদের দিয়ে একদিকে রিপাবলিকান পার্টিকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে রিপাবলিকানদের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সংকটকালে যাঁরা পাশে দাঁড়াননি, তাঁদের এবার শিক্ষা দিতে চান ট্রাম্প। রিপাবলিকানরা প্রচার চালাচ্ছেন, ট্রাম্প ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ বা ‘প্যাট্রিয়ট পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল বা রক্ষণশীল প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করবেন। ট্রাম্প প্রকাশ্যে ঘোষণা না দিলেও এ নিয়ে আমেরিকার রাজনৈতিক মহল সরগরম হয়ে উঠেছে।

মিট রমনি ছাড়াও সিনেটর লিসা মারকোস্কি, সুজান কলিন্স এবং ব্যান সাসি সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এখনো এমন ১৭ জন রিপাবলিকান সিনেটরের ভোট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত নয়।

একদিকে ট্রাম্পের সমর্থকেরা নতুন রক্ষণশীল প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন, অন্যদিকে প্রকাশ্যে রিপাবলিকানদের সামাল দেওয়ারও চেষ্টা করা হচ্ছে ট্রাম্প শিবির থেকে।

ট্রাম্পের উপদেষ্টা জ্যাসন মিলার সিএনএনকে বলেছেন, ২০২২ সালে প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করাই এখন ট্রাম্পের লক্ষ্য। জ্যাসন মিলার বলেছেন, তিনি তৃতীয় একটি রাজনৈতিক দল এখনই করার কথা সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছেন। জ্যাসন মিলারের এমন বক্তব্যকে রিপাবলিকানদের খুশি করার জন্য বলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে এখন পরাজয়ের গ্লানি, একে অন্যকে অভিযুক্ত করাসহ বিভেদ আর বিভক্তির খেলা চলছে। এর মধ্যেই ট্রাম্প নিজের অবস্থান সংহত করার প্রয়াস নিচ্ছেন।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডায় বসে গলফ খেলার ফাঁকে রিপাবলিকানদের কীভাবে শায়েস্তা করবেন, তা নিয়ে আলোচনা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কংগ্রেসে গৃহীত তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা অভিশংসন প্রস্তাবটি সিনেটে রয়েছে। রিপাবলিকান পার্টির ১৭ সদস্য ছাড়া ডেমোক্রেটিক পার্টি অভিশংসন কার্যকর করতে পারবে না।

দেশে এমনিতেই আগুন জ্বলছে, এই জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে গ্যাসোলিন ছাড়াকে আমরা সমর্থন করতে পারি না।
মার্কো রুবিও, রিপাবলিকান সিনেটর

ট্রাম্প মনে করছেন, নিজের দল ঘোষণা করে তিনি রিপাবলিকানদের চাপে ফেলতে পারবেন। এর মধ্যে কোনো কোনো রিপাবলিকান সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিপর্যয় ঠেকানোই এখন ট্রাম্পের প্রধান কাজ। অভিশংসন নিশ্চিত হলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প প্রার্থী হতে পারবেন না।
রিপাবলিকানদের মধ্যে সিনেটর লিজ চেনি, জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ন ক্যাম্পসহ যাঁরা ট্রাম্পের কথায় নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার কোরাসে যোগ দেননি, তাঁদের একহাত নেওয়ার জন্য ট্রাম্প এখন ফন্দি করছেন। রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে মতপার্থক্য প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে।
সিনেটর মিট রমনি ট্রাম্পের প্রথম দফা অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। গতকাল এক সাক্ষাৎকারে রমনি বলেছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে দুর্নীতিগ্রস্ত করতে চেষ্টা করেছেন। উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য সমর্থকদের ইন্ধন দিয়েছেন।

রমনি আরও বলেছেন, সিনেটে শুনানির মাধ্যমে এসব নিয়ে সব কথা জানার প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরও একজন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন কার্যকর করার সুযোগ রয়েছে।

ট্রাম্পের সমর্থক রিপাবলিকানরা বলতে শুরু করেছেন, ট্রাম্প এখন আর ক্ষমতায় নেই। ফলে, তাঁকে অভিশংসন দণ্ড দেওয়ার কোনো বিধান মার্কিন সংবিধানে নেই।
মিট রমনি ছাড়াও সিনেটর লিসা মারকোস্কি, সুজান কলিন্স এবং ব্যান সাসি সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এখনো এমন ১৭ জন রিপাবলিকান সিনেটরের ভোট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত নয়।

রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, ৬ জানুয়ারির তাণ্ডবের জন্য ট্রাম্পের দায় রয়েছে। মিচ ম্যাককনেলের এই বক্তব্যের পর মনে করা হচ্ছে, সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে আরও কিছু রিপাবলিকান দাঁড়াতে পারেন।

প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘দেশে এমনিতেই আগুন জ্বলছে, এই জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে গ্যাসোলিন ছাড়াকে আমরা সমর্থন করতে পারি না।’ ট্রাম্পের অভিশংসন দণ্ড কার্যকর করার উদ্যোগ দেশের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন সিনেটর মার্কো রুবিও।

টেক্সাস থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান সিনেটর জন করনাইন প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছেন। সিনেটর মাইক রাউন্ডস বলেছেন, অভিশংসন করার বিষয়টি এখন পুরোই অসাংবিধানিক। তিনি মনে করেন, বাইডেন প্রশাসনের জন্য এখন সাংবিধানিক পদগুলোর মনোনয়ন নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য বিষয় দেশের জন্য বেশি জরুরি।