Thank you for trying Sticky AMP!!

নারীদের চুমুর অভিযোগ অস্বীকার ট্রাম্পের

ডোনাল্ড ট্রাম্প

জীবনের কোনো কোনো পর্যায়ে নারীদের অনাকাঙ্ক্ষিত চুমু দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৯ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রথম পাতায় রিচেল ক্রুকসের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে ডজনখানেকের বেশি নারীকে ট্রাম্পের চুমু দেওয়া সম্পর্কিত একটি সংবাদ ভাষ্য প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়। রিচেল ক্রুকস অভিযোগ করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্প তাঁকে এ ধরনের আপত্তিকর চুমু দিয়েছিলেন। 

২০১৬ সালের শরতে নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। রিচেল ক্রুকস এখন ওহাইও থেকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হিসেবে অঙ্গরাজ্যের আইনসভার নির্বাচনে লড়ছেন। এর আগে রিচেল ক্রুকসকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু দেওয়ার দাবির ব্যাপারে ট্রাম্প সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি। বরং ট্রাম্পের মুখপাত্ররা এ ধরনের অভিযোগ ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা করেন।
দুটি টুইটের মাধ্যমে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘এমন নারীকে আমি চিনি না। তাঁর সঙ্গে আমার কখনো দেখাই হয়নি। যদিও “ভুয়া খবরের প্রতিষ্ঠান” ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ১২ বছর আগে আমি তাঁকে ট্রাম্প টাওয়ারের লবিতে দুই মিনিট ধরে চুমু দিয়েছি। এমনটি কখনোই হয়নি। আপনি কি খোলা জায়গায় সিসিটিভির সামনে এ ধরনের কাজ করবেন? এটা হলো আরেকটি মিথ্যা অভিযোগ। নারীরা আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কাহিনি তৈরির জন্য অর্থ নিয়ে থাকে। ওয়াশিংটন পোস্ট সে খবর ছাপায় না কেন?’
লেখায় রিচেল ক্রুকস বলেন, ‘২০০৬ সালের ১১ জানুয়ারি সকালে ২৪ তলার আবাসিক এলিভেটরের বাইরের ফুটেজ দেখুন। এটাই সবকিছু পরিষ্কার করে বলবে। রাজনীতিতে আপনার মতো মিথ্যুক থাকায়ই আমাকে নির্বাচনে লড়তে উদ্বুদ্ধ করেছে।’
এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্ক টাইমসে ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের আইনজীবী মিখায়েল কোহেন বলেন, নির্বাচনের আগে এক পর্নো অভিনেত্রীকে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছেন, যেন খবরটি অস্বীকার করা হয়।
ওয়াশিংটন পোস্টকে রিচেল ক্রুকস বলেন, তিনি বেরক্ গ্রুপের অফিসে অভ্যর্থনাকর্মী হিসেবে কাজ করার সময় অফিসের বাইরে ট্রাম্প তাঁকে চুমু দেন। এই সময় ট্রাম্প এলিভেটরের জন্য তাঁদের অফিসের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।
সংবাদ ভাষ্যের শুরু হয় রিচেল ক্রুকসের ঘটনা দিয়ে, ‘তিনি আমার হাত ধরলেন। আমাকে পাশের গ্লাসের সঙ্গে চেপে ধরলেন। গালে চুমু দিলেন...যা কমবেশি দুই মিনিট ধরে চলে। জানতে চান, আমি মডেল হতে চাই কি না।’
ট্রাম্প এসব অভিযোগকে ‘লকার রুম গল্প’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি টুইটে বলেন, ‘ঘটনা এমন যে, আমি নিজেই সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হই। আমি তাদের চুমু দিতে শুরু করি। এটা যেন কোন চুম্বক। এমনকি আমি অপেক্ষাও করি না।’