Thank you for trying Sticky AMP!!

নিউইয়র্কে বাংলা বইমেলা ২২ জুন শুরু

‘বই হোক আমাদের উত্তরাধিকার’ স্লোগান নিয়ে নিউইয়র্কের বাঙালি-অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে আগামী শুক্রবার থেকে বসছে নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা। তিন দিনব্যাপী এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার বাইরে বৃহত্তম ও সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী এই বাংলা বইমেলায় উত্তর আমেরিকার শতাধিক লেখক অংশ নিচ্ছেন। এতে অতিথি হিসেবে যাঁরা ঢাকা থেকে আসছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, কথাসাহিত্যিক  আনোয়ারা সৈয়দ হক ও আনিসুল হক ও কবি দিলারা হাফিজ। মেলায় সংগীত পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে আসছেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী লিলি ইসলাম ও আধুনিক বাংলা গানের জনপ্রিয় শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী।

মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই মেলার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বিজ্ঞানী নূরন্‌নবী। বাংলা একাডেমি, প্রথমাসহ বাংলাদেশের ২০টির মতো প্রকাশনা সংস্থা মেলায় নতুন বইয়ের প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমদ ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন মেলায় উপস্থিত থাকবেন এবং লেখক-পাঠকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেবেন।

প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলা সাহিত্যে সার্বিক অবদানের জন্য একজন লেখক পুরস্কৃত হবেন। এই পুরস্কারের নতুন নামকরণ হয়েছে মুক্তধারা-জি এফ বি সাহিত্য পুরস্কার, যার মূল্যমান ২ হাজার ৫০০ ডলার। এ ছাড়া মুক্তধারা-কথা প্রকাশ চিত্তরঞ্জন সাহা পুরস্কার নামে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকদের মধ্যে সেরা প্রকাশক পুরস্কার প্রদান করা হবে, যার মূল্যমান ৫০ হাজার টাকা।

তিন দিনের অনুষ্ঠানমালার অন্যতম আকর্ষণ হলো শহীদজননী জাহানারা ইমামের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘জননী’। ১৯৯২ সালে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঢাকায় একাত্তরের ঘাতক-দালালদের বিচারের দাবিতে যে গণ-আদালত বসে, তাতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী টমাস কিটিং। এই মেলায় কিটিংকে তাঁর সাহসী ভূমিকার জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হবে।

মেলার অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সঙ্গে আলাপচারিতা, ‘লেখক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা ও ডায়াসপোরা সাহিত্য নিয়ে মতবিনিময়। প্রয়াত কবি রফিক আজাদ ও সৈয়দ শামসুল হকের স্মৃতির উদ্দেশে থাকবে শ্রদ্ধাঞ্জলি। এতে অংশ নেবেন কবিপত্নী দিলারা হাফিজ ও আনোয়ারা সৈয়দ হক।

প্রতিবছরের মতো এবারেও থাকবে প্রবাসী শিল্পীদের গান, কবিদের কবিতাপাঠ ও তাঁদের রচিত গ্রন্থের ওপর আলোচনা। উল্লেখ্য, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাঙালি লেখকদের দেড় শর মতো নানা স্বাদের বাংলা বই প্রকাশিত হয়েছে।