Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশের ১২ শান্তিরক্ষীকে সম্মান জানাল জাতিসংঘ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ ২৭টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধির হাতে এ পদক তুলে দেন

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ১২ শান্তিরক্ষীকে সম্মান জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশের ১২জনসহ ২৭টি দেশের ১১৯ জন আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীকে ২৪ মে দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পদক দিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ ২৭টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধির হাতে এ পদক তুলে দেন।

মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা হলেন—মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক আরজান হাওলাদার ও মো. রিপুল মিয়া, মালি মিশনে নিহত সৈনিক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সৈনিক মোহাম্মদ রায়হান আলী, ল্যান্স করপোরাল মোহাম্মাদ আক্তার হোসেন ও সৈনিক মোহাম্মদ রাসেদুজ্জামান, কঙ্গো মিশনে নিহত সৈনিক মো. জানে আলম এবং দক্ষিণ সুদানে নিহত সৈনিক মো. মতিয়ার রহমান ও মো. মঞ্জুর আলী, ল্যান্স করপোরাল মো. মিজানুর রহমান এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আশরাফ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানটিতে জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধিরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনীতিক, সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ পদক গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদসহ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কর্মরত বাংলাদেশের কূটনীতিক, সেনা, নৌ ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এসব পদক নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত সামরিক-বেসামরিক শান্তিরক্ষীদের বিদেহী আত্মার স্মরণে জাতিসংঘ সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে ‘পিসকিপার্স মেমোরিয়াল সাইটে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অনুষ্ঠানে আন্তোনিও গুতেরেজ বলেন, ‘আজ আমরা ১১৯ জন অসম-সাহসী নারী ও পুরুষকে সম্মান জানাচ্ছি, যাঁরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যুদ্ধের বিভীষিকা থেকে নিরাপদ রাখার যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ কাজ করে, তা সমুন্নত রাখতে তাঁরা অমলিন স্বাক্ষর রেখে গেছেন।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া ও পরিচালন সহায়তা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে। এর আগে উপস্থিত সবাই আত্মদানকারী শান্তিরক্ষীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।