Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে নিউইয়র্কে প্রতিবাদ

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন বন্ধের ডাকে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে এক কর্মসূচিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রায় অর্ধশত মানুষ নানা ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে ডাইভার্সিটি প্লাজার সামনে দাঁড়ান। এ সময় অনেকে এই প্রতিবাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

‘বাংলাদেশ ইন আমেরিকা’, ‘মুক্তি ফোরাম’ ও ‘ভয়েস ফর সিলিভ রাইটস ইন বাংলাদেশ’ নামের তিনটি সংগঠনের যৌথ আয়োজনে এ প্রতিবাদ সমাবেশে প্রবাসী অনেকেই যোগ দেন। তাঁদের হাতে বড় ব্যানারে স্লোগান ছিল—‘শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ কর।’ এর বাইরে, রাষ্ট্রের দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা আর মানবিক রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা জানানো হয়েছে ওই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে।

ছড়াকার ও সাহিত্যিক শাহ আলম দুলাল র‍্যালিতে অংশ নিয়ে বলেন, ‘মানুষ প্রতিবাদ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। সরকারি অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বললেই যেন যে-কেউ রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে যায়। এই ব্যবস্থার অবসান হওয়া দরকার, সেটা যেকোনো দলের সরকারই হোক।’

হাতে লিখে নিয়ে আসা একটি প্লাকার্ডে দেখা যায়—‘পাশের বন্ধু হঠকারী আচরণ করলে তাকে পরাস্ত করা যায়। পরিবার হঠকারী আচরণ করলে তাকে প্রবল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, কিন্তু রাষ্ট্র যদি তার সন্তানদের সঙ্গে হঠকারী আচরণ করে, তখন রাস্তায় নেমে আসা ছাড়া বিকল্প থাকে না’।

প্ল্যাকার্ডধারী ওই তরুণের ভাষ্য, ‘ন্যায্য দাবি সরকারের পক্ষ থেকে বলপ্রয়োগ করে ঠেকানো হচ্ছে, যা আমাকে এত দূর থেকেও ব্যথিত করেছে।’

ষাটোর্ধ্ব এক অভিভাবক তাঁর নাতি-নাতনি নিয়ে এসেছিলেন প্রতিবাদ জানাতে। তিনি বলেন, ‘ছেলেগুলোর ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। হৃদয়ের তাড়না থেকেই তাই এসেছি।’

মাহবুবুল হক নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘যেভাবে নুরু আর তরিকুলকে মারা হয়েছে, সেটা দেখলে হৃদয় ভেঙে যায়। অথচ নিপীড়কদের বহাল তবিয়তে রেখেছে। এটা অসভ্যতার উদাহরণ। আমি ছাত্রদের পক্ষে কথা বলতে চাই।’ 

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ঠিক এমনই দাবি নিয়ে সমবেত হয়েছিলেন।