Thank you for trying Sticky AMP!!

বাড়িভাড়া নিয়ে গভীর সংকটে ভাড়াটেরা

করোনাভাইরাসের কারণে আমেরিকায় ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সংসারের ব্যয় নিয়ে পড়েছেন বিপদে। সময় মতো বাড়ি ভাড়া মেটাতে পারছেন না অনেকে। মার্কিন ভাড়াটেদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এপ্রিল মাসে সঠিক সময়ে বাড়ি ভাড়া দিতে পারেন নিন বলে জাতীয় বহুমুখী আবাসন কাউন্সিল থেকে প্রকাশিত এক তথ্যে জানা গেছে।
করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে আমেরিকান পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবে কতটা বিপদে পড়েছেন—এটি তারই এক নিদর্শন।

এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৩১ শতাংশ ভাড়াটে তাদের বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে লুইজিয়ানা ও নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ভাড়াটিয়াদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। প্রায় ৪০ মিলিয়ন ভাড়াটিয়ার ডেটা পর্যবেক্ষণ করে সংস্থাটি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
জাতীয় বহুমুখী আবাসন কাউন্সিলের সভাপতি ডগ বিবি বলছেন, সঠিক সময়ে সরকারের অনুদান না পেলে আগামী মাসে আরও বেশি সংখ্যক ভাড়াটিয়া সঠিক সময়ে তাদের বাড়িভাড়া পরিশোধে ব্যর্থ হবে। সংস্থাটি বলছে, অন্য যেকোনো সময়ে সাধারণত প্রায় ২০ শতাংশ সঠিক সময়ে বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। এ বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এপ্রিল মাসের ৫ তারিখের মধ্যে ৬৯ শতাংশ ভাড়াটিয়ে বাড়ি ভাড়া পরিশোধে সক্ষম হয়েছে। গত বছর একই সময় অর্থাৎ এপ্রিল মাসের ৫ তারিখের মধ্যে প্রায় ৮২ শতাংশ সঠিক সময়ে ভাড়া পরিশোধে সক্ষম হয়েছিল।
৮ এপ্রিল এক বিবৃতিতে বিবি জানান, ভাড়াটিয়ারা এভাবে সঠিক সময়ে বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে মালিকেরা বিশাল সমস্যায় পড়বে। তারা তাদের কর্মীদের বেতন যথাসময়ে দিতে পারবে না। মর্টগেজ ও ইউটিলিটি বিল যথাসময়ে পরিশোধে হিমশিম খাবে।’
জাতীয় আবাসন আইন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোলার বলছেন, এ রকম পরিস্থিতিতে সবাই যথাসময়ে বাড়ি ভাড়া প্রদান করবে, এমনটি আশা করাও বোকামি। আশা করা যায়, আগামী সপ্তাহগুলোতে অনেকেই এপ্রিল মাসের ভাড়া প্রদান করে ফেলবে।
নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ভাড়া ভাউচার প্রচলিত আছে, যা বাড়িওয়ালাদের অর্থ প্রদান করতে সাহায্য করে থাকে। অনেকেই বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধের ফলে যারা কাজ হারিয়েছেন, তাদেরও এ সুবিধা দেওয়া হোক।