বিদেশে ইমিগ্রেশন অফিস বন্ধের সিদ্ধান্ত হচ্ছে
আমেরিকার বাইরে অনেকগুলো অভিবাসন কার্যালয় (ইমিগ্রেশন অফিস) বন্ধ করা হচ্ছে। দেশের বাইরে ইমিগ্রেশন ও ফিল্ড অফিস বন্ধের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর মতে, এমন সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকায় পারিবারিক অভিবাসনসহ বিভিন্ন অভিবাসন আবেদনের সিদ্ধান্তে আরও বিলম্ব হবে। দেশের বাইরে আমেরিকার অনেকগুলো ইমিগ্রেশন ফিল্ড অফিস শরণার্থী ভিসা, মার্কিন সেনা সদস্যদের ভিসাসহ নিয়মিত অভিবাসন নিয়ে কাজ করে আসছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে অভিবাসন সুবিধার ওপর চাপ পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
১২ মার্চ ইউএস সিটিজেন অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসের (ইউএসসিআইএস) মুখপাত্র জেসিকা কলিন্স বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাইরের দেশে অবস্থিত বেশ কিছু অভিবাসন কার্যালয় বন্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দেশের
মার্কিন কনস্যুলেট কর্মকর্তারা বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে এসব কাজ করবেন। এমন সিদ্ধান্তে জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হবে এবং অভিবাসন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত দ্রুততার সঙ্গে নেওয়া যাবে। এর মাধ্যমে সরকারের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে।
২৩টি ফিল্ড অফিস বন্ধের ফলে অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব হবে না উল্লেখ করে জেসিকা কলিন্স বলেন, দেশের বাইরে ফিল্ড অফিসের মাধ্যমে দত্তক শিশু গ্রহণ করা, আমেরিকার সেনা সদস্যদের ভিন্ন নাগরিকত্বের মধ্যে বিয়ে ও তাঁদের অভিবাসন নিয়ে কাজ করা হয়। এসব কাজ এখন দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই করবেন।
তবে মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক সারা পিয়ারসে বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত অভিবাসীদের জন্য কঠিন অবস্থার সৃষ্টি করবে। এটি হচ্ছে অভিবাসন সংকোচনে বর্তমান প্রশাসনের আরেকটি পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন
-
ধর্ষণের পর বিয়ে, এরপর নির্যাতন করে তালাকের হুমকি
-
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা
-
বাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
-
বিদেশি তিনটি বড় শক্তি নির্বাচনের পক্ষে ছিল: জি এম কাদের
-
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল, অভ্যুত্থানেই পুরো পরিবারসহ খুন হন আফগান প্রেসিডেন্ট দাউদ খান