Thank you for trying Sticky AMP!!

মুসলিম নিবন্ধনের কথা উড়িয়ে দেননি টিলারসন

রেক্স টিলারসন

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের নিবন্ধনের বিষয়টি উড়িয়ে দেননি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তবে মুসলিমদের প্রবেশে ঢালাওভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিপক্ষে তিনি। গত বুধবার মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির শুনানিতে এ বিষয়ে নিজের মত দেন ধনকুবের টিলারসন।
প্রভাবশালী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে মনোনীত রেক্স টিলারসনকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের নিবন্ধনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বিষয়টি নাকচ না করে দিয়ে বলেন, এ জন্য তাঁর আরও সময় ও তথ্যের প্রয়োজন।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় জঙ্গিবাদী সহিংসতা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু নতুন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁর মনোনীত ব্যক্তিরাই এ বিষয়ে ভিন্নমত দিচ্ছেন।
রেক্স টিলারসন বহুজাতিক তেল কোম্পানি এক্সন মোবিলের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী। তেল ব্যবসায় যুক্ত রেক্স টিলারসনকে ট্রাম্প নিজের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ায় সমালোচনা হয়েছে। বিশেষ করে টিলারসনের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সখ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক মার্কিন।
মন্ত্রী পদে নিয়োগ চূড়ান্ত করতে সিনেটের অনুমোদন লাগে। এ জন্যই সিনেটে শুনানি হয়। এতে টিলারসন বলেন, ‘মুসলমানদের প্রবেশের ওপর ঢালাওভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো মানে হয় না। তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশে যাঁরা আসছেন তাঁদের সম্পর্কে মূল্যায়ন করার সক্ষমতা আমাদের থাকতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষকে গণহারে আটকে দেওয়ার পক্ষে নই আমি।’
ডেমোক্র্যাট সিনেটর জেইন সাহেনের প্রশ্ন ছিল, মুসলমানদের নিবন্ধন করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে হবে, এমন নীতি হলে তা সমর্থন করবেন কিনা। জবাবে মনোনীত টিলারসন বলেন, ‘এ বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে তা ঠিক করতে আমার আরও প্রচুর তথ্য লাগবে। যদি দেশে প্রবেশের সময় খুঁটিনাটি পরীক্ষা শুরু হয়, তবে তা কেবল একটি গোষ্ঠীতে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল পদের জন্য ট্রাম্পের মনোনীত জেফ সেশনেরও একই মত। তিনিও ঢালাওভাবে মুসলিম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মত দেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের দায়িত্বে মনোনীত জন কেলি মনে করেন, ধর্ম ও জাতিগত কারণে নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করার কোনো মানে হয় না। একান্ত বাধ্য না হলে তিনি নিবন্ধনের এই নিয়ম চালু করবেন না।
বিবিসি জানিয়েছে, টিলারসনের শুনানির বড় অংশ জুড়ে ছিল চীন-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়টি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত দক্ষিণ চীন সাগরে নির্মিত কৃত্রিম দ্বীপে চীনের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু কীভাবে তা করা হবে সেই বিষয়টি খোলাসা করেননি টিলারসন।