Thank you for trying Sticky AMP!!

অচল হয়ে পড়ল মার্কিন সরকার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বছর পূর্তির সময়টাতেই যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে বন্ধ হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বছর পূর্ণ করার দিন ২০ জানুয়ারি।

কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার ফলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ছাড়াও উদ্যান ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তাসহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কাজ আংশিকভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

রাজধানী ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের নাটকীয়তা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রিপাবলিক দল বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধের দায় ডেমোক্র্যাটদের। আর ডেমোক্র্যাটদের জোরালো উচ্চারণ, বন্ধ হওয়ার সব দায় রিপাবলিকান ও তাদের দলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বন্ধ হওয়ার পরও রাতভর সমঝোতা নাটক চলছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে দেওয়া মধ্যরাতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের স্বার্থ দেখতে গিয়ে তিনি বৈধ নাগরিকদের স্বার্থ বিসর্জন দিতে পারেন না।

এর আগে ২০১৩ সালে একবার আইন প্রণেতাদের সমঝোতা ভেঙে গেলে ১৬ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসীদের সুরক্ষা কর্মসূচি ‘ডাকা’র অধীনে যে আট লাখ তরুণ-তরুণী সাময়িকভাবে বৈধভাবে ওই দেশে থাকার অনুমতি পেয়েছেন, তাঁদের ব্যাপারে কোনো স্থায়ী সমাধান অর্জিত না হলে ব্যয় বরাদ্দ প্রশ্নে ডেমোক্র্যাটরা কোনো সমর্থন না দেওয়ার অবস্থানে অনড় আছে। ফলে সব সমঝোতা উদ্যোগ ভেস্তে যায়। কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে সমঝোতা প্রস্তাব গৃহীত হলেও সিনেটে তা পাস করানো যায়নি। সেখানে অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত যেকোনো প্রস্তাব গৃহীত হতে হলে কমপক্ষে ৬০টি হ্যাঁ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু রিপাবলিকানদের হাতে ছিল মাত্র ৫১টি ভোট। কমপক্ষে নয়জন ডেমোক্রেটিক সিনেটরের সমর্থন হলে সমঝোতা প্রস্তাবটি গৃহীত হতে পারতো। রিপাবলিকানরা আশা করেছিলেন, ট্রাম্প সমর্থক বলে পরিচিত অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত কোনো কোনো ডেমোক্রেটিক সিনেটর দলের নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন। তাদের এমন প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।