শেষ আসনটি রিপাবলিকানদের দখলেই থাকল
শেষ পর্যন্ত কোনো নাটক ছাড়াই মিসিসিপির সিনেট আসনের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী সিন্ডি হাইডি-স্মিথ সম্মানজনক ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন ছিল এ বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সিনেটের অমীমাংসিত শেষ আসন। ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনো দলের প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় এই আসনের জন্য পুনর্নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়।
এই বিজয়ের ফলে পরবর্তী কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ বা সিনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের আসনসংখ্যার অনুপাত দাঁড়াল ৫৩: ৪৭। অন্যদিকে, নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটরা ইতিমধ্যে তাদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। এখনো সব আসনের ভোট গণনা শেষ হয়নি, তবে বেসরকারিভাবে এই কক্ষে ডেমোক্র্যাটদের দখলে ২৩৪টি ও রিপাবলিকানদের ২০১টি আসন থাকার কথা।
বেসরকারি হিসাবে মিসিসিপির সিনেট নির্বাচনে হাইডি-স্মিথের পক্ষে ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কৃষিপ্রধান ও অত্যন্ত রক্ষণশীল এই রাজ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটার থাকায় অনেকে ভেবেছিলেন, ডেমোক্রেটিক প্রার্থী সাবেক আফ্রিকান-আমেরিকান কংগ্রেসম্যান মাইক এস্পি হয়তো জিতেও যেতে পারেন। গত বছর প্রতিবেশী আলাবামা রাজ্যে আফ্রিকান-আমেরিকান ও দলছুট শ্বেতকায় রিপাবলিকানদের ভোটে একজন ডেমোক্র্যাট সাবেক আইনমন্ত্রী জেফ সেশন্সের উন্মুক্ত আসনটি দখলে সক্ষম হন। এটি তাঁদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ, এই বিশ্বাস থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টি এই আসনে জয়লাভের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করে। দাসপ্রথা ও বর্ণবাদ বিষয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করে হাইডি-স্মিথ নিজেও রিপাবলিকানদের জন্য অতিরিক্ত মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠেন।
সত্যি সত্যি যাতে আসনটি হাতছাড়া না হয়, সে জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভোট গ্রহণের আগের দিন মিসিসিপিতে পরপর দুটি নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনেকেই বলছেন, ট্রাম্পের উপস্থিতির কারণে খুব ভালোভাবেই হাইডি–স্মিথ উতরে গেছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প এই রাজ্যে ২৬ পয়েন্টের ব্যবধানে তাঁর ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে পরাস্ত করেন।
নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদ বড় ব্যবধানে হাতছাড়া হওয়ায় প্রেসিডেন্ট তাঁর দলের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে সিনেটে রিপাবলিকানরা যে কেবল নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে তা–ই নয়, দুটি অতিরিক্ত আসন নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হয়, ট্রাম্প এটিকে নিজের জনপ্রিয়তার প্রমাণ বলে দাবি করেছেন। সিনেটে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা তাঁর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণে প্রতিনিধি পরিষদে নবনির্বাচিত বামপন্থী ডেমোক্র্যাটদের চাপে যদি তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব গৃহীত হয়, সিনেটে তা সমর্থিত না হলে সে প্রস্তাব কার্যকর হবে না।
আরও পড়ুন
-
গৃহকর বেড়েছে কয়েক শ গুণ, নগরবাসীর হাঁসফাঁস
-
শেয়ারবাজারে লেনদেন আবার হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
-
চট্টগ্রামে ঝড়: কলকাতা থেকে আসা ফ্লাইটের কক্সবাজারে গিয়ে জরুরি অবতরণ
-
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সংসদে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
-
মন্ত্রী–এমপিদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার ঘটনায় শাস্তি হবেই: ওবায়দুল কাদের