Thank you for trying Sticky AMP!!

সাংবাদিক রহমান মাহবুবের সন্তানের মৃত্যু

গত বাবা দিবসে বাবা রহমান মাহবুবের সঙ্গে মার্যান রহমান

প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণের সাংবাদিক ও লেখক রহমান মাহবুব তাঁর সন্তান হারিয়েছেন। রহমান মাহবুব ও উষা রহমান দম্পতির চার ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় ছেলে মার্যান রহমান (২৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৫ আগস্ট রাত ১০টার দিকে কুইন্স এলাকার একটি সুইমিং পুল থেকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগের কর্মীরা তাঁকে জ্যামাইকা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই মধ্যরাতে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মার্যান রহমানের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের ফলাফল না আসা পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাচ্ছে না।

মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত মার্যান রহমান নিউইয়র্কের বিখ্যাত ব্রুকলিন টেকের লেখাপড়া করেছেন। পরে পেনস্টেট ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক সম্পন্নের আগেই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। বুধবার দিনভর প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা অফিসে ছিলেন রহমান মাহবুব। সন্ধ্যার পর বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতের দিকে তাঁর অন্য ছেলে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ফোন করে মার্যান রহমানের জীবন সংকটের কথা জানান। মাহবুব দম্পতি দ্রুত জ্যামাইকা হাসপাতালে ছুটে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের সন্তানের মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করেন। খবর পেয়ে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার ইব্রাহীম চৌধুরী, শাহ আহমদসহ অন্যান্য স্বজনেরা হাসপাতালে দ্রুত ছুটে যান।

সাবেক ছাত্রনেতা, লেখক, সাংবাদিক ও রিয়েলটর ব্যবসায়ী হিসেবে উত্তর আমেরিকায় ব্যাপক পরিচিত রহমান মাহবুবের সন্তানের অকাল মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতা ও রহমান মাহবুবের পারিবারিক বন্ধু জুয়েল চৌধুরী জানিয়েছেন, মার্যান রহমানের জানাজার নামাজ ৭ আগস্ট জুমার নামাজের পর (বেলা ১টায়) জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। এর আধ ঘণ্টা আগে থেকেই তাঁর মরদেহ দেখার ব্যবস্থা থাকবে। জানাজা শেষে তাঁকে লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল গোরস্থানে সমাহিত করা হবে।

মার্যান রহমানের অকাল মৃত্যুতে শোক ও রহমান পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন নিউইয়র্কের বিশিষ্টজনেরা। প্রবীণ সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, রানা ফেরদৌস চৌধুরী, সুব্রত বিশ্বাসসহ প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা পরিবারের লেখক সাংবাদিকেরা শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, রহমান দম্পতিকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোনো ভাষা তাঁদের জানা নেই। এ শোক বয়ে চলার শক্তি যেন পরিবারটি পায়, তাঁরা সে কামনা করেছেন।