Thank you for trying Sticky AMP!!

৯/১১-এ নিহতদের স্মরণ এবার ভিন্ন পরিসরে

পুড়ছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার

‘আজ থেকে ১৯ বছর আগে, ঝকঝকে নীল আকাশ। কিন্তু সেই দিনের ১০২ মিনিট আমাদের জীবন একেবারে বদলে দিয়ে গেছে। আজ শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালের সেই হামলার ১৯তম বার্ষিকী পালন করব। এই স্মরণ আয়োজনে আপনাকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ এটি একটি টুইট বার্তা। এই টুইট করা হয়েছে ৯/১১ স্মৃতি ও জাদুঘরের পক্ষ থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দিন ২০০১ সালের সেই ১১ সেপ্টেম্বর। কারণ এই দিন দেশটির নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনে হামলা চালিয়েছিল আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা। সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। আর আহত হয়েছিলেন ছয় হাজারের বেশি। এ ছাড়া কমপক্ষে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার ভৌত অবকাঠামো এবং সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেই দিন। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা যেমন যুক্তরাষ্ট্রকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল, তেমনি পুরো বিশ্বে পড়েছিল এর প্রভাব।

এই হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে একাধিক স্মৃতির মিনার নির্মাণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে অন্যতম নিউইয়র্কের ন্যাশনাল সেপ্টেম্বর ১১ মেমোরিয়াল অ্যান্ড মিউজিয়াম। রয়েছে পেনসিলভানিয়ার ফ্লাইট ৯৩ ন্যাশনাল মেমোরিয়াল এবং ভার্জিনিয়ার পেন্টাগন মেমোরিয়াল। প্রতিবছরই এই স্মৃতির মিনারগুলোয় দিনটি স্মরণ করা হয়। বেশ আয়োজনও হয়ে থাকে। কিন্তু গত ১৮ বছরের তুলায় এবারের বাস্তবতা বেশ ভিন্ন। করোনাভাইরাসের মহামারি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এ আয়োজনে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, যথাসম্ভব ভিড় এড়ানোর চেষ্টা রয়েছে এই স্মরণ আয়োজনে। এরপরও যাঁরা সেখানে একত্র হবেন, তাঁরা যাতে করোনায় আক্রান্ত না হন, সেই চেষ্টা করবে কর্তৃপক্ষ।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে প্রতিবছর দুটি আলোর কলাম প্রদর্শন করা হয় নিউইয়র্কে। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না। কারণ কর্মীদের করোনার ঝুঁকি। এই আলোকসজ্জাকে বলা হয় ট্রিবিউট ইন লাইট। ৯৭ কিলোমিটার দূরে থেকে দেখা যায় এর আলো।

এদিক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন—দুজনই একই স্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পেনসিলভানিয়ার যেখানে হাইজ্যাক করা উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তাঁরা।