Thank you for trying Sticky AMP!!

'অযৌক্তিক আক্রমণে' ট্রাম্পের কর্মকর্তার পদত্যাগ

স্কট প্রুইট। ছবি: এএফপি

বিতর্কের মধ্যেই আমেরিকার পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার (ইপিএ) প্রধান স্কট প্রুইট পদত্যাগ করেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জমা দেওয়া পদত্যাগের চিঠিতে তিনি এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে তাঁর ও তাঁর পরিবারের ওপর ‘অযৌক্তিক আক্রমণের’ কথা উল্লেখ করেছেন।

স্কট প্রুইটের পদত্যাগপত্র হাতে পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেন, ‘ইপিএ প্রধান পদ থেকে স্কট প্রুইটের পদত্যাগপত্র আমি গ্রহণ করলাম। প্রুইট দারুণভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি তাঁর কাছে সব সময় কৃতজ্ঞ থাকব। প্রুইটের সহকারী অ্যান্ড্রু হুইলারকে নতুন ইপিএ প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছে সিনেট।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইপিএর দায়িত্বে থাকাকালে পুরো সময় বিতর্ক সঙ্গী ছিল স্কট প্রুইটের। তাঁর জীবনাচরণ থেকে শুরু করে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার—এসবই ছিল এই বিতর্কের নেপথ্যে। সর্বশেষ এক রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে এক নারী শিক্ষকের বাক্যবাণে জর্জরিত হয়েছেন তিনি। ওই নারী তাঁকে পদত্যাগের অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রুইট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরিবেশের উন্নয়নে তেমন কোনো কাজ করেননি। এ ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন প্রুইট।
স্কট প্রুইটের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি তদন্ত চলমান রয়েছে। রয়েছে বিস্তর সমালোচনা। এর মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির লবিস্টের কাছে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া দেওয়া নিয়ে মাঝে তোলপাড় হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। একই সঙ্গে নিজের দপ্তরে দুই কর্মীর বেতন বাড়ানোর ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউসকে অগ্রাহ্য করারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় ইপিএর কার্যক্রম সংকুচিত করার মাধ্যমে তিনি উদারপন্থী ও পরিবেশবাদীদের তীব্র সমালোচনার শিকারও হয়েছেন।
প্রুইটের এই পদত্যাগকে ডেমোক্র্যাটরা স্বাগত জানালেও তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়া অ্যান্ড্রু হুইলারকে নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কারণ অ্যান্ড্রু হুইলারের সঙ্গে কয়লা উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্ক রয়েছে। এ অবস্থায় ইপিএ-প্রধানের নামে পরিবর্তন এলেও কার্যক্রমে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে আশঙ্কা করেছেন ডেমোক্র্যাট নেতারা।
স্কট প্রুইটকে নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ানো মন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তার সংখ্যা চারে দাঁড়াল। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী টম প্রাইস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও প্রবীণ নাগরিক মন্ত্রী ডেভিড শালকিন ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ান। তাঁদের কেউ পদত্যাগ করেছেন, আবার কেউ সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।