Thank you for trying Sticky AMP!!

'এবার একটা মেয়ে আশা করছি'

ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘...এবার একটা মেয়ে আশা করছি।’ না, ওবামা দম্পতির ঘরে নতুন কোনো অতিথি আসছে না। এই ‘মেয়ে’ মানে নবজাতক কন্যাসন্তান নয়। রেনজি আসলে বলতে চেয়েছেন, তিনি এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে একজন নারী প্রেসিডেন্ট, অর্থাৎ হিলারি ক্লিনটনকে বিজয়ী দেখতে চান।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে কে জিতবে, কে হারবে—এই নিয়ে ভোট শুরুর আগ মুহূর্তেও বিশ্বজুড়ে চলেছে নানা জল্পনা। বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরাও এ নিয়ে নিজ নিজ মত দিয়েছেন।
মাত্তিও রেনজি গতকাল মঙ্গলবার তাঁর ফেসবুক পাতায় বারাক ওবামার উদ্দেশে ইতালীয় ভাষায় লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমরা জানতে পারব। এই ভোটের ফল অবশ্যই আগামী চার বছর বাকি বিশ্বের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। আশা করছি, এবার একটি মেয়ে হবে।’ ফেসবুকের বার্তায় রেনজি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এদিকে গতকাল রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের পর নতুন সরকার সম্পর্কোন্নয়নে কতটুকু অগ্রসর হবে, তার ওপর এ বিষয়ে মস্কোর আগ্রহের বিষয়টি নির্ভর করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক সম্প্রতি খুব খারাপ অবস্থায় নেমে এসেছে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে রাশিয়া সাইবার হামলা চালিয়েছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, হিলারি ক্লিনটন জয়ী হলে তা বিশ্বনেতাদের মধ্যে নারী-পুরুষের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে। দেশটির প্রথম এই নারী চ্যান্সেলর গতকাল বার্লিনে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। মেরকেল বলেন, ‘তখন হয়তো নেতৃত্বের পর্যায়ে আমরা কিছুটা কাছাকাছি আসতে পারব।’ এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন নরওয়ের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেন সলবার্গও। হিলারি জয়ী হলে কী হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি যে শুধু পুরুষেরা করে না, অনেক তরুণীকে তেমন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে এটি উৎসাহ জোগাবে।’
এর আগে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ওয়াখিম গক দেশটির একটি পত্রিকাকে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতে যেতে পারেন এবং এটিকে তিনি ‘উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছেন।