Thank you for trying Sticky AMP!!

'পাবলিক চার্জ' নীতির কার্যকারিতা বন্ধে ডি ব্লাজিওর মামলা

অভিবাসন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা পাবলিক চার্জ আইনের কারণে এখন থেকে সহজেই ভিসা ও গ্রিনকার্ড দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে অভিবাসন বিভাগ। নতুন এ নীতিমালার কার্যকারিতা ঠেকাতে মামলা করেছে নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক নগরীর আইনজীবীরা ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে পাবলিক চার্জ আইনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষ এ জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন আদালতে।

পাবলিক চার্জ সম্পর্কিত আইন অনুযায়ী মেডিকেইড, ফুডস্টাম্প, পাবলিক আবাসন সুবিধা গ্রহণকারী অভিবাসীদের গ্রিনকার্ড ও ভিসা দিতে

অস্বীকৃতি জানাতে পারবে অভিবাসন বিভাগ। আইনটি আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়তে হবে অভিবাসীদের। অভিবাসীবান্ধব নগরী হিসেবে নিউইয়র্ক তাই বসে থাকেনি। নগরীর ডি ব্লাজিও প্রশাসন আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে।

মামলায় আইনজীবীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, লাখো অভিবাসী ও তাদের পরিবারকে তাদের প্রাপ্য সরকারি সুবিধা গ্রহণ থেকে ভয় দেখিয়ে বিরত রাখবে এই নীতি। স্বাস্থ্যগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভয়াবহ সমস্যার মুখে পড়তে হবে অভিবাসী ও তাদের পরিবারকে। বর্তমান নীতি অনুযায়ী সরকারের কাছ থেকে নগদ আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারী অভিবাসীদের ‘পাবলিক চার্জ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সরকারের দৃষ্টিতে এরা বোঝা। তাই তাদের গ্রিনকার্ড বা ভিসা দিতে অস্বীকার করা হয়। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির নতুন বিধান অনুযায়ী শুধু নগদ অর্থ নয়, যেকোনো সরকারি সুবিধা গ্রহণকারীকে ‘পাবলিক চার্জ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ফলে ফুডস্টাম্প, মেডিকেইড থেকে শুরু করে নগদ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করা সব অভিবাসীই ভিসা ও গ্রিনকার্ড পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। এটি এক ভয়াবহ সংকটের জন্ম দেবে।

নগরীর মেয়র কার্যালয়ের ইমিগ্রেশন অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক কমিশনার বিট্টা মুস্তাফি বলেন, ‘মামলাটি নতুন পাবলিক চার্জ বিধির কার্যকারিতা বন্ধে আমাদের লড়াইয়ের অংশ। বিধানটি শুধু অভিবাসীদেরই নয়, সবারই বিশেষত স্বাস্থ্যসেবাকে ব্যাহত করবে। কারণ এর ফলে অনেক মানুষই ভয়ের কারণে তাদের ন্যায্য অধিকার চাওয়া ও তা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে।’

এর আগে গত মাসে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসসহ কানেকটিকাট ও ভারমন্টের অ্যাটর্নি জেনারেলরা যৌথভাবে এই নীতির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। নিউইয়র্ক নগরীর পক্ষ থেকে এ মামলা তারই ধারাবাহিকতা। এসব মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ‘পাবলিক চার্জ’ নীতিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে।