Thank you for trying Sticky AMP!!

চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক নিয়ে নতুন করে ভাবছে বাইডেন প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় দ্বীপটির চারপাশে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। এ ঘটনায় চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক নিয়ে নতুন করে ভাবছে হোয়াইট হাউস।
রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কিছু চীনা পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে নাকি বেইজিংয়ের ওপর অন্য সম্ভাব্য বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে, সে বিষয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে চীনের আমদানি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক শিথিল করতে কয়েক মাস ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছে বাইডেনের প্রশাসন। আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতেই প্রশাসনের এ চেষ্টা। তবে তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের প্রতিক্রিয়া ওই বিকল্পগুলোর গুরুত্ব এখন কমিয়ে দিয়েছে বলে এই চিন্তাভাবনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

কিছু শুল্ক বাদ দেওয়া, অতিরিক্ত শুল্কের সম্ভাব্য খাতগুলো খতিয়ে দেখতে নতুন অনুসন্ধান চালু, শুল্কমুক্ত পণ্যের তালিকা বর্ধিত করাসহ একটি সমন্বিত পদক্ষেপ বিষয়ে বিবেচনা করছে প্রশাসন। এর উদ্দেশ্য চীন থেকে নির্দিষ্ট কিছু পণ্য সরবরাহে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করা।

হোয়াইট হাউস বলছে, তবে এসব বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বাইডেন। সব বিকল্পই বিবেচনায় রয়েছে।

ট্রাম্প আমলে শুল্কারোপের ফলে চীনা পণ্য আমদানি মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য আরও বেশি ব্যয়বহুল হয়েছে। ফলে ভোক্তাদেরও বেশি দামে এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে। নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রধান লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। ওই নির্বাচনে কংগ্রেসের উভয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে চলে যেতে পারে, এমন শঙ্কাও রয়েছে।

কিন্তু পেলোসির সফর ঘিরে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রতি বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আবার তাঁরা এমন কিছু করতে আগ্রহী নন, যা চীনের দৃষ্টিতে উসকানি হিসেবে বিবেচিত হবে। সেই সঙ্গে কমিউনিস্ট দেশটির আগ্রাসী মনোভাবের কারণে পিছু হটেছেন বলে মনে হয়, এমন কিছুও তাঁরা এড়াতে চাইছেন।

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের সামরিক মহড়ার সময় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ছবিটি একটি ভিডিও থেকে নেওয়া

এ প্রক্রিয়ার সর্বশেষ অগ্রগতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, ‘আমি মনে করি, তাইওয়ান (ইস্যু) সবকিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে।’

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সালোনি শর্মা বলেছেন, ‘তাইওয়ান প্রণালির ঘটনাপ্রবাহের আগে এবং এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। সাময়িক স্থগিত রাখা কিংবা সরে আসার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে সব বিকল্পই বিবেচনায় রয়েছে প্রেসিডেন্টের টেবিলে।’

সালোনি শর্মা বলেন, ‘একমাত্র প্রেসিডেন্টই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেবেন।’

সিদ্ধান্ত নিতে কেন দেরি হচ্ছে, এমন প্রশ্নে জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমোন্ডো। তিনি বলেন, ‘স্পিকার পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর বিষয়টি বিশেষ করে জটিল হয়েছে। তাই প্রেসিডেন্ট তাঁর বিকল্পগুলো নিয়ে ভাবছেন।’

Also Read: তাইওয়ানে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ তৎপরতা সহ্য করা হবে না: চীন

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (প্রেসিডেন্ট) খুবই সতর্ক। তিনি নিশ্চিত হতে চান, আমরা এমন কিছুই করব না, যা আমেরিকান শ্রমিক ও কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’

অবশ্য তাইওয়ান ইস্যু ছাড়াও আরও কিছু বিষয় বাইডেন প্রশাসনের চিন্তাভাবনাকে জটিলতায় ফেলেছে। শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে চীনের কাছ থেকেও একই ধরনের পদক্ষেপ চাওয়া হলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে দুটি সূত্র জানিয়েছে।

Also Read: দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ নিয়েছে চীন: ব্লিঙ্কেন