Thank you for trying Sticky AMP!!

দীর্ঘদিনের রিপাবলিকান শিবিরের নেতা কেভিন ম্যাকার্থি এখনো স্পিকার পদ নিশ্চিত করতে পারেননি

মার্কিন স্পিকার নির্বাচনে ১৪তম বার ভোট, আবার ব্যর্থ ম্যাকার্থি

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিন ১৪তম বারের ভোটাভুটিতেও স্পিকার নির্বাচন করতে পারেননি আইনপ্রণেতারা। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কেভিন ম্যাকার্থি আবারও ব্যর্থ হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার স্পিকার নির্বাচনে চতুর্থ দিনের অধিবেশন শুরুর আগে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ম্যাকার্থি। তিনি বলেছিলেন, ‘কিছু অগ্রগতি হয়েছে। আমরা সদস্যরা কথা বলেছি। নতুন কিছু হতে পারে।’

তবে গতকাল রাতে তৃতীয় দফার ভোটেও স্পিকার নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হন ম্যাকার্থি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার নাগাদ তিন দিনে ১৩ দফা ভোটাভুটি হলেও স্পিকার নির্বাচনে ব্যর্থ হয় প্রতিনিধি পরিষদ।

Also Read: যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার নির্বাচনে অচলাবস্থা কেন, সমাধান কী

প্রতিনিধি পরিষদের আসনসংখ্যা ৪৩৫। এর মধ্যে রিপাবলিকানদের ২২২ ও ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ২১২। স্পিকার হতে ম্যাকার্থির প্রয়োজন ২১৮ ভোট। দলের বিদ্রোহী কট্টরপন্থী আইনপ্রণেতাদের সমর্থন ছাড়া তাঁর পক্ষে স্পিকার হওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে নিজেদের প্রার্থী হ্যাকিম জেফ্রিসের পেছনে এককাট্টা ডেমোক্র্যাটরা।

কট্টর রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত ট্রাম্পপন্থী ২০ রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। অচলাবস্থা কাটাতে নিজ দলের বিদ্রোহীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসেন ম্যাকার্থি। তাঁদের কিছু দাবি–দাওয়াও মেনে নিয়েছেন তিনি।

কিন্তু আশা জাগিয়েও ১৪তম বারের মতো ব্যর্থ হন ম্যাকার্থি। সিনএনএনের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এই দফায় ২১৬ ভোট নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন তিনি। শেষ মুহূর্তে কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এরপর অধিবেশন আগামী সোমবার পর্যন্ত স্থগিত রাখার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তবে তা নাকচ হয়ে যায়। এখন ১৫তম বারের মতো ভোটাভুটি হবে। ম্যাকার্থি নিজেকে আবারও প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

Also Read: ১০০ বছরে এমন সংকটে পড়েনি মার্কিন কংগ্রেস

স্পিকার নির্বাচনে ১৯২৩ সালের পর এমন সংকটে পড়েনি মার্কিন কংগ্রেস। স্পিকার হলেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের সভাপতি। সভাপতিকে ছাড়া কংগ্রেস কোনো কাজ করতে পারে না। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থন ছাড়া স্পিকার নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস অচল। স্পিকার নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত ভোটাভুটি চলবে।