শিগগিরই সরছে না ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

প্রতীকী ছবি

বিক্ষুব্ধ বঙ্গোপসাগর। সক্রিয় মৌসুমি বায়ু। তাই ভাদ্রেও রয়ে গেছে আষাঢ়ে বৃষ্টি। প্রকৃতির এই আচরণে টানা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সমুদ্রবন্দরগুলোসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোয় ৩ নম্বর সতর্কসংকেত রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিগগিরই ৩ নম্বর সংকেত সরছে না। কারণ, উত্তর বঙ্গোপসাগরে আবার লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এই লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে।

  • উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৬০ কিলোমিটারের বেশি বেগে বাতাস বইছে

  • ২২ আগস্টের আগপর্যন্ত ৩ নম্বর সতর্কসংকেত থাকবে

আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ বুধবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। লুঘুচাপটি যদি উপকূলের দিকে আসে, তাহলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাই বলা যায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি সহজে কমছে না। এর সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায়

প্রায় ৬০ কিলোমিটারের বেশি বেগে বাতাস বইছে। তাই ৩ নম্বর সতর্কসংকেত এখনো থাকবে। যে পরিস্থিতি চলছে, এতে ২২ আগস্টের আগপর্যন্ত ৩ নম্বর সতর্কসংকেত থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, লঘুচাপের পাশাপাশি মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এ কারণে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি মাসের বাকি সময় বৃষ্টিমুখর থাকতে পারে। আগস্টে প্রতিবছর গড়ে ৪০২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বাংলাদেশে। কিন্তু ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ, ১৮ দিনে ৬০ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে, ১৪৯ মিলিমিটার।