ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত রোববার নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথম আলোর ২০ বছর পূর্তি পালিত হয়েছে। ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম আলোর পাঠক সংগঠন বন্ধুসভা সকালে একটি ভালো কাজ ও বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভালো কাজ হিসেবে রোববার সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ পৈরতলা রেলগেট থেকে পশ্চিম দিকে বধ্যভূমি ও তার চারপাশে গজে ওঠা জঙ্গল, অপ্রয়োজনীয় গাছপালা ও ডাল কেটে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে। বন্ধুরা এই বধ্যভূমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতা রক্ষার অনুরোধ জানিয়ে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে শহরের দক্ষিণ পৈরতলা রেলগেট থেকে পশ্চিম দিকে মুক্তিযুদ্ধ সমর্থনকারী বেশ কয়েকজন নিরীহ বাঙালিকে গুলি করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কিন্তু জেলার এই বধ্যভূমি বছরজুড়েই অবহেলায় পড়ে থাকে। তাই প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বন্ধুরা এই বধ্যভূমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন।
বেলা তিনটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বন্ধুরা। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইডিয়াল রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আলামিন শাহীন, তিতাস সাহিত্য একাডেমির পরিচালক মনির হোসেন ও ড্রিম ফর ডিসঅ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের পরিচালক হেদায়েতুল আজিজ মুন্না উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি শাহাদৎ হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। বন্ধুসভার সহসভাপতি লিমন ভূঁইয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। বক্তারা প্রথম আলোকে পত্রিকার পাশাপাশি একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান দাবি করে এর সাফল্য কামনা করেন। আগামী দিনে সত্য প্রকাশে প্রথম আলো পত্রিকাকে আরও বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বক্তারা।
১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে প্রথম আলো পত্রিকা নিয়মিত পাঠ করে আসছেন বলে অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে বলেন নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম। অতিথিদের বক্তব্য শেষে ভালোর সাথে আলোর পথে থাকার এবং জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে দূরে রাখার শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন বন্ধুসভার সদস্য তাহমিনা জাহান, রুমি জান্নাত, অন্তু ও সাইমা আক্তার। গান পরিবেশন করেন বন্ধু নবনিতা রায় বর্মন, তাসদিদ ও আমির হামজা। কবিতা আবৃত্তি করেন শাহজাহান আহমেদ।