শুভ বড়দিন

আজকে আমার শুধু কিশোরবেলার কথা মনে পড়ছে। আমাদের গ্রামের নাম বকচর। এর এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল। খালের অপর পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি গির্জা। আমাদের বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিটে গির্জার কাছে পৌঁছা যায়।
গির্জার দুই পাশে দুইিট গ্রাম। একটি নতুন তুইতাল, আরেকটি পুরান তুইতাল। দুই গ্রামেই খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বাস। আমি যে স্কুলে পড়তাম, সেই স্কুলটিও তুইতাল গ্রামে। ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত পড়েছি সেখানে। এ কারণে আমার ছোটবেলার বেশির ভাগ বন্ধুই খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী।
ডিসেম্বর মাস এলেই আমাকে আর পায় কে। ওই দুই গ্রামে আমি ঘুরে বেড়াতাম। বড়দিন উপলক্ষে হতো নাটক। দীর্ঘদিন চলত সেই নাটকের মহড়া। রাত জেগে দেখতাম সেই মহড়া। হতো কীর্তন।
বড়দিনে আমার বন্ধুদের বাড়ি বাড়ি যেতাম। যেমন যেতাম ঈদের দিনে বিভিন্ন বাড়িতে।
আজ সেই বড়দিন। আমার বেড়ে ওঠা ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বকচর গ্রামে। সেই সব স্মৃতি ভিড় করে আসছে চোখের সামনে। আমার এক বন্ধু কর্নেলিউস রোজারিওর সঙ্গে যেতাম অন্য গ্রামগুলোতে। আমাদের অঞ্চলে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত গ্রামগুলো ‘আঠারো গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত।
সারা বাংলাদেশে আমাদের বন্ধুরা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছেন। পালন করছেন বড়দিন। তাঁদের সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাই। বড়দিন হোক সবার জন্য আনন্দের–সুখের। এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার জীবনে। বড়দিন ছড়িয়ে দিক শান্তি–সম্প্রীতি–ভ্রাতৃত্ব।

সভাপতি: প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ।
যোগাযোগ: ০১৯৫৫৫৫২০৮৮