ভৈরব সভার অনলাইন নিবন্ধন

অনলাইনে নিবন্ধন করছেন ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা
অনলাইনে নিবন্ধন করছেন ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরা


৫ ও ৬ জানুয়ারি। বন্ধুসভার সদস্যদের পথচারণে মুখর প্রথম আলো ভৈরব অফিস। মুখরতা আসে অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে বন্ধুসভার সদস্য হওয়ার আগ্রহ থেকে। উৎসবমুখর পরিবেশে দুই দিনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন ভৈরব সভার ৬০ জন বন্ধু। অনলাইন পরিবারে যুক্ত হতে পেরে অনেক বন্ধুর মধ্যে বাড়তি উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গেছে।
রাসেল রাজ ভৈরব সভার নতুন বন্ধু। টানা তিনটি পাঠচক্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভৈরব সভার সদস্যপদ নিশ্চিত করেন রাসেল। শেষে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পেরে বেশ খুশি তিনি। রাসেল রাজ জানান, ভৈরব বন্ধুসভা মানে নতুন কিছু। বাড়তি কিছু।
সারিতে দাঁড়িয়ে নিবন্ধন শেষে বিশাল, সুর্কনা ও নাইমার প্রতিক্রিয়া ছিল বেশ উচ্ছ্বাসের। তাঁরা এককথায় বললেন, ‘কী মজা। আমরা এখন বন্ধুসভার অনলাইন পরিবারের একজন। সারা দেশের বিশাল বন্ধুবহরের আমরাও একজন। এই অনুভূতি অন্য রকম।’
এদিকে জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ থেকে অনলাইন নিবন্ধনের তাগিদ পাওয়ার পর ভৈরব সভা বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণ করে। একই সঙ্গে প্রক্রিয়াটিতে কীভাবে উৎসবের আমেজ আনা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়। শেষে সিদ্ধান্ত হয়, একটি বিশেষ সেল গঠনের মাধ্যমে বন্ধুদের অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হবে। এই সেলের প্রধান করা হয় ভৈরব বন্ধুসভার সহসভাপতি নাহিদ হোসাইনকে। এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে কাজ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমেদ মোল্লা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অর্ণব গণি, সদস্য মানিক ও রিফাত।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নিবন্ধনের প্রথম পর্বের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৫ ও ৬ জানুয়ারি। সময় দেওয়া হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এরপর দুই দিনে ৬০ জন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন তুষার জানালেন, ‘বন্ধুসভার প্রতিটি কাজে সাংগঠনিক ছাপ রাখার চেষ্টা করা হয়। চেষ্টা করা হয় যেন আন্তরিকতার ছোঁয়াও থাকে। এই কারণেই নিবন্ধনে আমরা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করি। এই ক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যে আবার প্রক্রিয়াটি শুরু করা হবে।

সাংগঠনিক সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা