প্রবাল বিভোর স্বপ্ন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

২৯ জানুয়ারি পটিয়া বন্ধুসভার বন্ধুরা আনন্দযাত্রা করে। রাত ২টা ৩৫ মিনিটে পোস্ট অফিস মোড় এলাকা থেকে বাসে চেপে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন বন্ধুরা।

পটিয়াসভার বন্ধুদের আনন্দযাত্রা
পটিয়াসভার বন্ধুদের আনন্দযাত্রা


সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে পৌঁছায় কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজঘাটে। সকালের নাশতা সেরে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজে উঠে পড়লেন সব বন্ধু। কেয়ারি সিন্দাবাদ রওনা দিল সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে সকাল সাড়ে নয়টায়। বঙ্গোপসাগরে হেলেদুলে এগিয়ে চলে জাহাজ। বন্ধুসভার সব বন্ধু মিলে বন্ধুসভার সাহিত্য সম্পাদক সাজ্জাদ ভাইয়ের গলায় গলা মিলিয়ে গাইতে শুরু করেন, ‘ওরে নীল দরিয়া, আমায় দেরে ছাড়িয়া’ গান। জাহাজের পিছু পিছু এগিয়ে আসে পরিযায়ী পাখিরা।

পটিয়াসভার বন্ধুদের আনন্দযাত্রা
পটিয়াসভার বন্ধুদের আনন্দযাত্রা


বেলা ১টায় পৌঁছাল সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। সব বন্ধু বালুচরের উদ্দেশে রওনা হলো। বালুচরে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। সভাপতি জাহেদ বনাম সহসভাপতি মনির গঠিত দলের সঙ্গে মনোমুগ্ধকর ফুটবল খেলার আয়োজন চলে। খেলা পরিচালনা করেন প্রথম আলো প্রতিনিধি আবদুর রাজ্জাক।

রাতের জ্যোৎস্নার আলোয় চলে গিটার ও কাহন বাজিয়ে গান, নাচ। গিটার বাজিয়ে গান শোনান জাহেদ। তাঁর গলায় গলা মিলিয়ে সবাই গান ও নাচ শুরু করেন। পরদিন সকালে ছেঁড়াদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হলেন বন্ধুরা। সেন্ট মার্টিনে সবচেয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অলংকার ছেঁড়াদ্বীপ। স্বচ্ছ পানির নিচে প্রবালগুলো দেখা যায়, যা সত্যি মনোমুগ্ধকর। ছেঁড়াদ্বীপ থেকে আবারও ফিরে যায় সেন্ট মার্টিন নৌঘাটের উদ্দেশে। দুপুরের খাওয়া সেরে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজে চড়ে বিদায় জানাই সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে।

সহসভাপতি, পটিয়া (চট্টগ্রাম) বন্ধুসভা