পুষ্টি-প্রথম আলো বিতর্ক উৎসব

বিতর্ক উৎসবের ছোঁয়া লাগল সারা দেশেই। খুদে বিতার্কিক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিতর্কের বিচারক—সবাই একসঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়ালেন। দেশের ৩৫টি জেলায় অনুষ্ঠিত হলো এই উৎসব। উৎসবের উচ্ছ্বাস, যুক্তির দূতি ছড়িয়ে গেল সবখানে।

বিতর্কপ্রেমী শিক্ষার্থীরা
বিতর্কপ্রেমী শিক্ষার্থীরা


‘পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব, যোগ দাও যুক্তির মেলায়’—এই ঘোষণা উচ্চারিত হয়েছিল গত ১৯ অক্টোবর। তারপর রাজধানীর বাইরে মোট ৩৫টি জেলা শহরে অনুষ্ঠিত হলো উৎসব। ২৫ জানুয়ারি ঢাকার বাইরে এই সর্ববৃহৎ স্কুল বিতর্ক উৎসব শেষ হলো।

দ্বিতীয় পর্যায়ে এবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে ৬টি বিতর্ক উৎসব। রাজধানীকে ছয়টি অঞ্চলে ভাগ করে ছয়টি বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আছে ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ইংরেজি বিতর্ক আয়োজনেরও।

পুরান ঢাকা, মিরপুর, রামপুরা, ধানমন্ডি ও উত্তরা—এই পাঁচটি অঞ্চলে হবে পাঁচটি উৎসব। এ ছাড়া থাকবে ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন আয়োজন। উৎসবগুলো কবে কোথায় হবে, সেটা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

কে এল জুবলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক নাজনিন আক্তার বলেন, ঢাকার শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে পুরান ঢাকার শিক্ষার্থীরা প্রথম আলোর বিতর্ক উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে থাকে।

নাজনিন আক্তার আরও বলেন, ‘আমরা চাই ছোটবেলা থেকেই সবাই অন্যের যুক্তি মানতে শিখুক। যুক্তি দিয়ে কথা বলতে শিখুক। আমি যুক্তি দেব। ন্যায়সংগত কথা বলব। পাশাপাশি অন্যের যুক্তিকেও ভালোবেসে মেনে নেওয়ার মানসিকতা যেন তৈরি হয়। যুক্তি মানার মনের জোর তৈরি হলে ঝগড়া-ফ্যাসাদ অনেকাংশে কমে আসে। তৈরি হয় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। আমাদের খুদে শিক্ষার্থীরা যেন বেড়ে উঠতে পারে নানান মতের মানুষের সঙ্গে।’

বিতার্কিক বিরূপাক্ষ পাল বলে, বিতর্ক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে গুণ দান করে তার নাম আত্মবিশ্বাস। এ এক অমূল্য সম্পদ। জীবনের দুঃসময়ে আত্মবিশ্বাস তাদের সোজা হয়ে দাঁড়াতে শেখায়।

রাজধানীর পর্ব শেষ হলে সারা দেশে বিতর্কে যারা ভালো করেছে, তারা আসবে ঢাকায়। অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্ব।

টিকে গ্রুপের সহযোগিতায় দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এই হচ্ছে বিতর্ক উৎসব। টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক বলেন, এই বিতর্ক উৎসবের মাধ্যমে সারা দেশের স্কুলের শিশু-কিশোরদের মেধার চর্চা হবে। তারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য নিজেদের আরও উদ্যোগী করে গড়ে তোলার সুযোগ পাবে।

ঢাকার বাইরে প্রায় ২০০০ খুদে বিতার্কিক সরাসরি বিতর্কে অংশ নিয়েছে। তাদের সঙ্গে ছিল আরও কয়েক হাজার বিতর্কপ্রেমী শিক্ষার্থী। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের প্রায় ৪৫০ জন বিতর্কের বিচারক উৎসবগুলোতে বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন।

স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্কের প্রতি দেখা গেছে ব্যাপক আগ্রহ-উদ্দীপনা। তাদের প্রত্যাশা, প্রথম আলো যেন প্রতিবছর সারা দেশে এ রকম বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করে। বিতর্ক উৎসবে সার্বিক সহযোগিতা করে প্রথম আলো বন্ধুসভা।