দিনটি ছিল স্মৃতিচারণার

বন্ধুদের কন্ঠে  ‘আগুনের পরশমণি...’
বন্ধুদের কন্ঠে ‘আগুনের পরশমণি...’


১৩ মে সোমবার। বিকেল তখন ৪টা ৪৫। রাজধানীর কারওয়ান বাজার সিএ ভবনের পঞ্চম তলায় দু–এক পা করে এগিয়ে এলেন বেশ কয়েকজন বন্ধু। আগে থেকে উপস্থিত কয়েকজনের কাছে জিজ্ঞেস করলেন, এখানে কি পুরোনো বন্ধুদের অনুষ্ঠান? হ্যাঁ বলার পরে ব্যানার দেখে নিশ্চিত হলেন তাঁরা।

নাম না জানা এক বন্ধু এগোলেন ব্যানারের কাছে। ব্যানারে লেখা ‘পুরোনো বন্ধুদের আড্ডা।’ তবে পুরোনো শব্দটির ওপর একটি লাল রঙের ক্রস চিহ্ন দেওয়া। ভালোভাবে আঙুল ঘষে তিনি নিশ্চিত হলেন চিহ্নটি ব্যানার ডিজাইনের সময় দেওয়া হয়েছে। বললেন, দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে লাল রঙের স্কচ টেপ দিয়ে ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। এরপর কাজটির প্রশংসা করলেন তিনি।

বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে একে একে উপস্থিত হলেন প্রায় ৫০ জন বন্ধু। সবাই রাজধানীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধু। আবেগে একে অপরকে কাছে টেনে নেন। বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সভাপতি দন্ত্যস রওশন সবাইকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করলেন। চার-পাঁচজনকে একসঙ্গে সামনে ডেকে অনুভূতি প্রকাশ করতে বললেন তিনি। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকেই ফিরে যান সুদূর অতীতে। ৫, ১০ ও ১৫ বছরের স্মৃতি হাতড়ে কেউবা বললেন মজার মজার ঘটনা। অট্ট হেসে উপস্থিত বন্ধুরা সে সব কথা উপভোগ করলেন।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে এক বন্ধু বললেন, অফিসের বসকে ম্যানেজ করে, শহরের জ্যাম ঠেলে অনুষ্ঠানে এসে ভালোই লাগছে। খাইরুল বাবুই নামের এক বন্ধু মজা করে বললেন, বন্ধুসভায় আমার অনেক বেশি পাওয়ার ছিল, আমি সভাপতির খুব কাছের ছিলাম, দন্ত্যস রওশন ভাইয়ের থেকেও পুরোনো আমি। বন্ধু আশফাকুজ্জামান তখন মজা করে পাশের জনকে বলছিলেন আমি তাহলে? এভাবে অতীত দিনের গোপন কথা স্বাচ্ছন্দ্যে প্রকাশ করেন অনেকেই।

আলোচনা-আড্ডার মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়। বন্ধুদের ডাটা সংরক্ষণ ও হারানো বন্ধুদের খুঁজে একটি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্মিলিত বন্ধুদের ক্যামেরাবন্দী করে শেষ হয় পুরো আয়োজন।