বই পড়ার মাধ্যমে মোয়াজ্জেমকে স্মরণ করল ভৈরবসভা
ভৈরব বন্ধুসভার পাঠচক্র এখন মুদ্রিত বই পড়ার একটি আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। আর এই পাঠচক্রে অনেকটাই গতি দেন ভৈরব বন্ধুসভার সাবেক পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসাইন। কিন্তু তিনি এই আন্দোলনে বেশি দিন যুক্ত থাকতে পারেননি। তিন বছর আগে ৬ সেপ্টেম্বর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় না-ফেরার দেশে চলে যান মোয়াজ্জেম। তাঁকে হারানোর এই ক্ষত ভৈরবসভার কর্মীরা প্রতিনিয়ত অনুভব করেন। এ জন্য প্রতিবছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীটি পালন করা হয় বই পড়া কিংবা বই বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে। তৃতীয় বার্ষিকী ছিল শুক্রবার। ভৈরবসভা মোয়াজ্জেমের জীবন ও সাংগঠনিক কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আয়োজন করে বইপড়ার আসরের।
কাজী নজরুল ইসলামের আলোচিত উপন্যাস মৃত্যুক্ষুধা ছিল পড়ার নির্ধারিত বিষয়। বিকেলে প্রথম আলো ভৈরব অফিসে বসে এই পাঠের আসর।
গ্রন্থালোচনায় অংশ নেন ভৈরবসভার সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন তুষার, পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক সুমাইয়া হামিদ দিয়া, অনুষ্ঠানবিষয়ক সম্পাদক সানজিদা সিদ্দিকা ও প্রথম আলো ভৈরব অফিসের প্রতিবেদক সুমন মোল্লা।
মোয়াজ্জেম স্মরণে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা হয়। বক্তারা বলেন, মোয়াজ্জেম একজন নিভৃতচারী সংগঠক ছিলেন। বন্ধুসভার হয়ে অনেক আয়োজনে তিনি যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। সর্বশেষ তিনি বন্ধুসভার পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব নেন এবং পাঠচক্রের গতি আনেন।
আলোচনায় অংশ নেন ভৈরব বইমেলা পরিষদের সভাপতি আতিক আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ভৈরবের সভাপতি তাহমিদ ওয়াসিফ পার্থ, সাধারণ সম্পাদক রেদুয়ান আহমেদ শোভন, ভৈরবসভার উপদেষ্টা জনি আলম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান দীপ ও মোয়াজ্জেমের বাবা মাহাবুব মিয়া।
অর্ণব গণি
উপসাংগঠনিক সম্পাদক