ভৈরবসভার লেখাজোকার কলাকৌশল নিয়ে যত কথা

ভৈরবে সংবাদ ও ফিচার লেখার নিয়মকানুনবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে ভৈরব বন্ধুসভা
ভৈরবে সংবাদ ও ফিচার লেখার নিয়মকানুনবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে ভৈরব বন্ধুসভা


বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদ থেকে জানানো হলো দেশের বেশ কিছু জেলা শহরের পাশাপাশি ভৈরবেও সংবাদ ও ফিচার লেখার নিয়মকানুনবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। ঘোষণা জানার পর শুরু হয়ে যায় ভৈরবসভার প্রস্তুতি। নির্ধারিত ৫০ টাকা করে ফি জমা দিয়ে আগ্রহীরা অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেন। দুই দিনেই নিবন্ধন হয়ে যায় ৫৫ জনের। এর মধ্যে ভৈরব বন্ধুসভার সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অংশ নেন। কর্মশালাটি হয় ৩০ আগস্ট বিকেলে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে।
প্রশিক্ষক ছিলেন প্রথম আলো ভৈরব কার্যালয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা।

ভৈরবে সংবাদ ও ফিচার লেখার নিয়মকানুনবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে ভৈরব বন্ধুসভা
ভৈরবে সংবাদ ও ফিচার লেখার নিয়মকানুনবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে ভৈরব বন্ধুসভা


অংশ নিয়ে সাহিত্য সম্পাদক ইকরাম বখশ বলেন, কর্মশালায় অংশ নিয়ে অন্তত সংবাদ ও ফিচারের পার্থক্যটি ভালো করেই বুঝতে পেরেছি। সংবাদের সূচনাটা কীভাবে করতে হয় তাও রপ্ত করেছি। ব্যক্তিজীবনে এই কর্মশালা বেশ উপকারে আসবে বলে মনে করেন ইকরাম বখশ।
বন্ধুসভার সক্রিয় কর্মী আফজাল। বন্ধুসভার সব আয়োজনে তাঁর অংশগ্রহণ উৎসাহ জাগানিয়া। কর্মশালাটি তাঁর বিশেষ কাজে লাগবে।

ভৈরবে সংবাদ ও ফিচার লেখার নিয়মকানুনবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে ভৈরব বন্ধুসভা
ভৈরবে সংবাদ ও ফিচার লেখার নিয়মকানুনবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে ভৈরব বন্ধুসভা


বন্ধুসভার সহসভাপতি প্রিয়াংকার মন্তব্য হলো, বন্ধুসভা বছরব্যাপী নানা ইস্যু নিয়ে কাজ করে। সব কাজই সমাজ ও ব্যক্তির মঙ্গলে আসে। তবে এর মধ্যে তরুণ প্রজন্মের জন্য এই ধরনের আয়োজন বেশি উপকারে আসে, যেমনটা আসবে সংবাদ ও ফিচার লেখার নিয়মকানুনবিষয়ক কর্মশালাটি।

কর্মশালা উদ্‌যাপন পর্ষদের সদস্য ছিলেন অনুষ্ঠানবিষয়ক সম্পাদক সানজিদা সিদ্দিকা। কর্মশালা নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা হলো, প্রথমে তাঁর মনে হয়েছিল ইস্যুটি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি নাও হতে পারে। পরে ভাবনা মিথ্যে প্রমাণিত হলো। অর্থ পরিশোধ করে ৫৫ জনের অংশগ্রহণ তাই প্রমাণ করে।

কর্মশালায় উৎসাহ জোগাতে এসেছিলেন ভৈরব থেকে এক সময় প্রকাশিত সাপ্তাহিক মফস্বলচিত্রের সম্পাদনা পরিষদের সভাপতি ডা. আজিজুল হক। আয়োজনটি দেখে তিনি ইতিবাচক মন্তব্য করেন। বলেন, এখন লেখার অনেক ইস্যু আছে। আবার লেখার অনেক মাধ্যম হাতের কাছে চলে এসেছে। চাইলে লেখা যায় এবং সেটি প্রকাশ ও প্রচার করা যায়। সেই কারণেই এই কর্মশালাটি খুবই গুরুত্ব বহন করে।

উদ্যোগটির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে প্রতিক্রিয়া দেন ভৈরবসভার সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, সহসভাপতি প্রিয়াংকা, লুবনা হক, জাহিদুল হক , জনি আলম ও কর্মশালা উপকমিটির সদস্যসচিব সানজিদা সিদ্দিকা।