ডেঙ্গু নির্মূলে ভৈরব বন্ধুসভার সচেতনতামূলক কর্মসূচি
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করতে হবে। এডিস মশা জন্মানোর সুযোগ করে দিয়ে অন্য সব উদ্যোগ খুব বেশি প্রয়োজনে আসবে না। আর এর বংশ বিস্তার রোধ করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সেই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন কেবল নাগরিক সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ সৃষ্টির মাধ্যমে সম্ভব—ডেঙ্গু নির্মূলে ভৈরব বন্ধুসভা এমন বার্তাসংবলিত লিফলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করে।
২ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভৈরবসভার অন্তত অর্ধশত বন্ধু প্রচারণায় অংশ নেন। শেষে বন্ধুসভার একটি দল যায় শহরের চন্ডিবের দক্ষিণপাড়ায় অবস্থিত হাজী আসমত আলী এতিম শিশু পরিবার নামে একটি শিক্ষালয়ে। সেখানকার অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্থানীয় মেহের মমতাজ মিলনায়তনে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আলোচকেরা বলেন, কয়েক বছর আগে থেকে ডেঙ্গুর সঙ্গে আমরা পরিচিত। তবে এবার সারা দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং সবাইকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। তবে আশার কথা হলো, এই ভয়কে জয় করেছি আমরাই। দেশবাসী নানা উদ্যোগ নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণে ডেঙ্গু এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।
বন্ধুসভার কর্মীরাও বসে নেই। সারা দেশে নানা আয়োজন নিয়ে বন্ধুসভার কর্মীরা ডেঙ্গু নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডেঙ্গুবিষয়ক সচেতনতার নানা দিক প্রদর্শন করা হয়।
বক্তব্য দেন হাজি আসমত আলী এতিম বালিকা শিশু পরিবার পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া সিদ্দিকী, ভৈরবসভার জনি আলম, সহসভাপতি প্রিয়াংকা, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, সাবেক সভাপতি আরাফাত ভূইয়া, পাঠচক্র সম্পাদক সুমাইয়া হামিদ, সাহিত্য সম্পাদক ইকরাম বখশ ও আয়োজনটির উপকমিটির আহ্বায়ক শ্রাবণী।
সাহিত্য সম্পাদক