ড্যাফোডিল-শেকৃবিতে বর্ণিল বসন্ত উদ্যাপন
সময় তখন বিকেল চারটা। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সোবহানবাগ ক্যাম্পাসের মিলনায়তন ৭১-এ বন্ধুদের ঢল। সবার চোখেমুখে উচ্ছ্বাস। অপেক্ষা বসন্তের আগাম অনুষ্ঠান ‘ড্যাফোডিলে বসন্ত’র জন্য। বিকেল সাড়ে চারটায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আয়োজন।
এরপর পর্যায়ক্রমে মঞ্চে পরিবেশিত হয় নাচ, গান, আবৃত্তি, র্যাম্প শো ও রম্য বিতর্ক। অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করেন তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী কামরুজ্জামান রাব্বি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। বন্ধুদের সামনে ড্যাফোডিল বন্ধুসভার নতুন কমিটির পরিচয় করিয়ে দেন ড্যাফোডিল বন্ধুসভার মডারেটর আনোয়ার হাবিব। বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান মাহবুব পারভেজ, বাণিজ্য অনুষদের সহকারী অধ্যাপক অনুজ কুমার চক্রবর্তী, প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুমিত আল রশিদ, সহসভাপতি সৈয়দ রশীদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী মৌ এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগমাধ্যম–বিষয়ক সম্পাদক আবদুল ওহাব। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ড্যাফোডিল বন্ধুসভার সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সোহান হোসেন।
অন্যদিকে বসন্তের আগমন যেন ১২ তারিখেই ঘটেছিল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেকৃবি বন্ধুসভার বন্ধুদের আয়োজনে ১৯টি সংগঠনের সমন্বয়ে বসন্তবরণ, আলপনা ও মেহেদি উৎসব উদ্যাপন করা হয়েছে দুই দিনব্যাপী।
১২ ফেব্রুয়ারি বেলা দুইটায় আলপনা উৎসবের উদ্বোধন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিমুল চন্দ্র সরকার। পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় শেকৃবি উপাচার্য কামাল উদ্দীন আহম্মদ মেহেদী উৎসবের আয়োজন করেন। বিকেলে সাংস্কৃতিক আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুমিত আল রশীদ, সহসভাপতি সৈয়দ রশীদুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুন্নাহার মৌসুমী।