যে চিঠি লেখা হয়নি

প্রিয়তমেষু,
লাভ রোডের সামনে দিয়ে প্রতিদিন হেঁটে হেঁটে ক্যাম্পাসে আসো তুমি। গেরুয়া রঙের একটা ব্যাগ আর চোখে গোল ফ্রেমের চশমা। তোমার ক্যাম্পাসে আগমনের পথের টঙে বসে সেই সকাল থেকে তোমার যাওয়া অবধি বসে থাকি। ফুটপাত দিয়ে যাওয়ার সময় কেন যেন প্রতিদিন তুমি চুলগুলো একটা ঝাড়া দিয়ে যাও। তোমার চুলের এই হালকা গন্ধটা আমার মতো কত্ত ছেলের হৃদয়ে কাঁপন ধরাতে পারে, তুমি কি জানো?
আচ্ছা, তোমাকে শাড়িতে কেমন লাগে? ক্যাম্পাসের প্রোগ্রামগুলোতে সবাই শাড়ি পরে এলেও তোমাকে কখনো শাড়িতে দেখিনি। একদিন শাড়ি পরে আসবে, নীল শাড়ি, কালো পাড়ের। আমিও নীল একটা পাঞ্জাবি পরব। পরে দুজন হাত ধরে পুরো ঢাকা শহর ঘুরব। আর লতিফ মামার চটপটি, রহিম মামার হালিম কিংবা রমজান মামার ঝালমুড়ি তোমাকে খাওয়াব। খাওয়া শেষে তোমার আঁচলে কি মুখ মোছা যাবে?
আচ্ছা, তোমার কি ক্লিন শেভ পছন্দ, নাকি এ রকম খোঁচা খোঁচা দাড়ি? দুভাবেই তোমার সামনে গেছি, কখনো তো তোমাকে দৃষ্টি দিতে দেখলাম না একবারও। একবার তাকালেই তো বুঝে যেতাম কোনটা তোমার পছন্দ, মুখ ফুটে কেইবা শুনতে চেয়েছে?
এই চিঠিটা পেলে কি তুমি আমাকে একটু খুঁজে দেখবে? ভালোবাসি বলে কি ভালোবাসা জানানোর দায় শুধুই কি আমার? অনেক বসন্ত পার হয়ে গেছে, অনেক ফাল্গুনও হয়তো পার হয়ে যাবে, তারপরও কি তুমি একদিন নীল শাড়ি পরে আমার হাতটা খপ করে ধরে বলবে না, ‘চলো আজ তোমার সাইকেলে চড়ে পুরো শহর ঘুরব?’ আমি কিন্তু বড্ড অপেক্ষায় আছি।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিবন্ধুসভা