মায়ের দেখা


খুব শিলাবৃষ্টি হচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না রনি। তবু বের হতে হবে। কারণ, মা অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে। মায়ের অসুস্থতা জেনে কোনো সন্তান স্থির থাকতে পারে না। তাই কোনো বাধাই রুখতে পারে না রনিকে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মেঘ চমকাচ্ছে। চারদিকে ঘোর অন্ধকার, তবু রনি গাড়ি নিয়ে বের হয়। বাসা থেকে বেরিয়ে কিছুদূর এগিয়ে যেতেই গাড়ি থামাতে হলো। ততক্ষণে শিলা থেমেছে। রাস্তার পাশে এমন অসময়ে অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নিয়ে এক অসহায় বাবা দাঁড়িয়ে আছে। বাবা-মায়েরা সন্তানের সামনে আমৃত্যু এমন অসহায় থাকে। মেয়েটার মুখচ্ছবি দেখে নিজের বোনের ছবি চোখে ভাসে। খুব অসময়ে সে পৃথিবীকে বিদায় বলেছে।
খুব দ্রুত মেয়েটাকে হাসপাতালে নিতে হবে। অথচ রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই। রনি অসহায় বাবার চোখের দিকে চেয়ে, তাদের রেখে যেতে পারল না। তাই নিজের গাড়িতে করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে মায়ের কাছে ফিরে যায় রনি। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। মা যে তার চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে। মনে মনে ভাবে, একজন বাঁচতে হলে আরেকজনকে স্বেচ্ছায় চলে যেতে হয়...
পটুয়াখালী বন্ধুসভা।