সহজে সমস্যার সমাধান করতে


ধরুন আপনার জীবনে এমন মস্ত বড় সমস্যা দেখা দিল, যেটার জন্য আপনি মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। তখন আপনি কী করবেন? কোন উপায়ে সমস্যাকে বশীকরণ করবেন? পৃথিবীতে কেউ কিন্তু সমস্যার ঊর্ধ্বে নয়, সে ক্ষেত্রে যে মানুষটি সমস্যার সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেই তুলনামূলকভাবে সুন্দর সমাধানের দিকে এগিয়ে যায়।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কিছু কিছু সমস্যা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতেই পারে। এমতাবস্থায় সমাধানের জন্য কীভাবে শুরু করবেন এবং কীভাবে পরিকল্পনার রূপরেখা বানিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন, তাই আজ আলোচনা করব। সে ক্ষেত্রে সলিউশন ফ্লুয়েনসি (Solution Fluency) পদ্ধতি অন্যতম। এই পদ্ধতির ছয়টি ধাপ রয়েছে, যা সাধারণত ‘সিক্স ডিএস’ নামে পরিচিত:
সংজ্ঞায়ন (ডিফাইন): আপনার জীবনে সমস্যাটি আদৌ কী? এটার কী সমাধান করলে আপনি আবার সুন্দর জীবনে ফিরতে পারবেন, সেটা খুঁজে সংজ্ঞায়িত করতে হবে নিজের কাছেই।
আবিষ্কার (ডিসকভার): আপনার সমস্যাটি মূলত কোন প্রসঙ্গ বা কোন পটভূমি থেকে এসেছে, এটা আবিষ্কার করতে হবে। প্রতিটি পটভূমি আলাদা আলাদা তথ্য সরবরাহ করে থাকে ও আলাদা সমাধানের পথ দেখায়। 
স্বপ্ন (ড্রিম): এ ক্ষেত্রে আপনাকে দিবাস্বপ্ন দেখতে হবে। সমাধানের সব উপায় সম্পর্কে ভেবে নিতে হবে। যাকে এক কথায় ড্রিম বা স্বপ্ন বলতে পারেন। 
ছক (ডিজাইন): সব কটি পদ্ধতি থেকে আপনার জন্য সুবিধাজনক ও সহজসাধ্য পদ্ধতির একটি ডিজাইন বা ছক করে ফেলতে হবে, যাতে আপনি অতি সহজে কাজ এগিয়ে নিতে পারেন।
অনাবৃত করুন (ডেলিভার): সংজ্ঞায়ন, আবিষ্কার, স্বপ্ন অনুযায়ী ছক কষার পর আপনাকে ছক অনুযায়ী আপনার পরিকল্পনা নিজের কাছেই সহজভাবে অনাবৃত করুন বা নিজের কাছে প্রকাশ করুন, ফলে ভুল–ত্রুটি ঝালিয়ে নিতে পারবেন সহজে।
আলোচনা-সমালোচনা করুন (ডিব্রিফ): পূর্বে আপনার সমস্যার সময়ে যেসব পদক্ষেপ এবং কাজ সমস্যা সমাধানের পথ দেখিয়েছিল ও বর্তমানে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, দুটোকে পাশাপাশি রেখে আলোচনা ও সমালোচনা করুন। এরপর আপনি পূর্বের চেয়ে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।
সাধারণ সম্পাদক, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা।