মরণোত্তর চক্ষু দান করলেন ভোলাসভার অপি

এম সাদ্দাম হোসাইন (অপি)
এম সাদ্দাম হোসাইন (অপি)


পৃথিবীর আলো, রং–রূপ আমাদের সামনে মূর্ত হয়ে ধরা দেওয়ার জন্য যে অঙ্গটি সবচেয়ে জরুরি, সেটা হলো চোখ। দৃষ্টিহীন মানুষের মতো অভাজন আর হয় না। দৃষ্টিহীন সেই অন্ধকারের কথা হয়তো দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের অনুভবের বাইরে।
মৃত্যুর পর অন্যকে কর্নিয়া দানের রীতিকেই মূলত বলে মরণোত্তর চক্ষু দান। সম্প্রতি সন্ধানী চক্ষুদান সমিতিতে এমন মানবিক কাজ মরণোত্তর চক্ষু দানে রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রথম আলো ভোলা বন্ধুসভার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এম সাদ্দাম হোসাইন (অপি)। তিনি ভোলার লালমোহনের নাজিরপুরের বশীর আহাম্মদ মাস্টারের ছেলে। অপি দুই ভাই এবং এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।

২০১১ সালে অনার্সের প্রথম থেকে তিনি সামাজিক সংগঠনে যোগ দেন। এরপর তিনি প্রথম আলো ভোলা বন্ধুসভা এবং রোভার স্কাউটসে কাজ করেন। দীর্ঘসময় ভোলা বন্ধুসভায় সফলতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ভোলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।
এম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ‘চোখ বন্ধ করে অন্ধ মানুষের কষ্ট অনুভব করি। তাই আমি স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে মরণোত্তর চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত নিলাম সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির মাধ্যমে। আমার মৃত্যুর পর চোখ নষ্ট না করে দুজন অন্ধ মানুষের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে এই সিদ্বান্ত। আমি মনে করি, এতে আমার হারাবার কিছুই নেই।’
সাদ্দাম হোসাইন আরও বলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর কোনো একজন অন্ধ মানুষ আমার দান করা চোখ দিয়ে দেখতে পারবে এই পৃথিবী—এর চাইতে আমার কাছে আর কোনো বড় পাওয়া হতে পারে না। এতে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি। মানবসেবাই পরম ধর্ম, নিজেকে সব সময় মানবসেবায় নিয়োজিত রাখতে চাই।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ভোলা বন্ধুসভা