মনে থাকবে সেই হাসিমাখা মুখ

তাহেরা বেগম ও শাহ আলম, স্বামী-স্ত্রী দুজনের সংসার। পাঁচ ছেলে থাকলেও রাখে না মা–বাবার খোঁজ। তাহেরা বেগমের স্বামী শাহ আলম রিকশা চালিয়ে মেটান সংসারের খরচ। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে এপ্রিলের শুরু থেকেই রিকশা চালানো বন্ধ শাহ আলমের। সহমর্মিতার ঈদ শিরোনামের আয়োজনে তাহেরা বেগম আর শাহ আলমের মুখে হাসি ফুটিয়েছে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা।
প্রতিবেশী হওয়ায় তাহেরা বেগমের খোঁজখবর আমার আগে থেকেই জানা। সে কারণেই ১০০ পরিবারের তালিকায় যুক্ত হয় তাহেরা বেগমের নাম। ঈদের আগের দিন সকালে তাহেরা বেগমের হাতে চট্টগ্রাম বন্ধুসভার সহমর্মিতার ঈদ আয়োজনের ৫০০ টাকা তুলে দিই। তাঁর মোবাইল ব্যাংকিং না থাকায় এবং আমার বাসার কাছে হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে তাঁর হাতে টাকা তুলে দিই।
এ সময় চোখ যেন ছলছল করছিল তাহেরা বেগমের। অশ্রুসজল চোখে তিনি যে হাসিটা দিলেন, সেই হাসিমাখা মুখ আমার মনে থাকবে আজীবন। এভাবে চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা বাসায় বসেই যাচাই–বাছাই করে তাঁদের আশপাশের ১০০ অসহায় পরিবারের তালিকা তৈরি করেন। সেই তালিকা ধরে প্রতি পরিবারে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধু, উপদেষ্টা ও শুভাকাঙ্ক্ষী সবাই সহমর্মিতার ঈদ শিরোনামের আয়োজনে অংশ নেন। সবার সহযোগিতায় সফল হয় এই আয়োজন।
কিছু টাকা এখনো জমা আছে। সে টাকা দিয়ে দ্বিতীয় ধাপে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও কিছু অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াব আমরা।

ইব্রাহীম তানভীর: সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা