মুম্বাইয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন

মুম্বাইয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা
মুম্বাইয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা

ভারতের মুম্বাইয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশন যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালন করে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার (১৫ আগস্ট) উপহাইকমিশন স্থানীয় একটি হোটেলে বিশেষ স্মরণসভা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মুম্বাইয়ে নিয়োজিত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা শুরু করেন। এরপর উপস্থিত অতিথি ও উপহাইকমিশনের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ১৫ আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকলের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠের পর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা সকলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কীর্তিময় জীবন ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামান্য কৃতিত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মুম্বাইয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় উপস্থিতির একাংশ
মুম্বাইয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় উপস্থিতির একাংশ

উপহাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর একক ও অসাধারণ নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশ্বশান্তি ও মানবতার কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ভূমিকার ওপর তিনি আলোকপাত করেন। সকলকে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম দেশপ্রেম ও প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) কুলদীপ ব্রার ও মেজর (অব.) উদয় সাটেও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

শেষ পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র ‘সোনালি দিনগুলো’ (Those Golden Days) প্রদর্শন করা হয়। স্মরণসভায় উপহাইকমিশনের সকল সদস্য, তাদের পরিবার, স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, ডিপ্লোমেটিক কমিউনিটির সদস্য, শিক্ষাবিদ ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি