দক্ষিণ কোরিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন

মন্দিরে সমবেত ভক্তরা
মন্দিরে সমবেত ভক্তরা

‘বাজল তোমার আলোর বেণু’ প্রতি বছরের মতো এবারও আলোর বেণু বাজিয়ে ধরাধামে দেবীর আগমন। আর এ আগমনী বার্তা শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশের পরিবেশকেও উৎসবমুখর করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাধাকৃষ্ণ মন্দির উইজংবুতে মহাসমারোহে উদ্‌যাপিত হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা। রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের একনিষ্ঠ ভক্ত পঙ্কজ দত্ত ও অন্য ভক্তদের প্রচারণা এবং সার্বিক সহযোগিতায় কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও অন্য দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী, গবেষক, ইপিএস কর্মী ও ব্যবসায়ীরা সপরিবারে এই পূজায় অংশগ্রহণ করেন। পূজারি ও সমবেত ভক্তরা ধরিত্রীর মঙ্গল কামনায় পূজা, অঞ্জলি প্রদান ও প্রার্থনা করেন।

স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদা ইসলাম
স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন আবিদা ইসলাম

কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম মন্দিরে উপস্থিত থেকে সকলের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীতে দেবীর আগমন ঘটে সকল দুর্গতি নাশ করে, শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ঠিক তেমনি আমরা যেন, আমাদের ভেতরের অশুভকে বিনাশ করে শুভ শক্তিকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি। তবেই দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধিত হবে।

সিঁদুর খেলায় মাতোয়ারা নারী ভক্তরা
সিঁদুর খেলায় মাতোয়ারা নারী ভক্তরা

রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের পুরোহিত ও সম্পাদক পতঞ্জলি মুনি দাস ধর্মালোচনা ও সমবেত সকলকে নিয়ে কীর্তন করেন। এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন মন্দির কমিটির সভাপতি সঞ্জয় যাদব ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি দোলন দাস।

চার দিনব্যাপী এই দুর্গোৎসবের সমবেত ভক্তদের জন্য হাসি রানি বাড়ৈর নির্দেশনা ও সৌমিত্র কুমার কুণ্ডর সঞ্চালনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন রুম্পা বিশ্বাস, স্বচ্ছ ও বিপ্রজিৎ। ভজন কীর্তন পরিবেশন করেন আশুতোষ অধিকারী, রতন সরকার, বিলাশ বিষু, চৈতি শিকদার, সুপ্রিয়া বিশ্বাস ও বীণা মজুমদার। কৌতুক পরিবেশন করেন প্রবীর দাস।

আরতি নৃত্য
আরতি নৃত্য

এ ছাড়া সমবেত সকলের আনন্দের জন্য শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি ও ধর্মীয় কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বিজয়া দশমীর দিনে পুনরায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপর সকলে মিলে প্রসাদ গ্রহণের পর কাঁসর-ঘণ্টা ও ঢাকের তালে তালে আরতি নৃত্য, উলুধ্বনি ও সিঁদুর খেলার আয়োজন করা হয়। বিদেশের মাটিতে এমন উৎসবমুখর পরিবেশ, নিজ দেশে রেখে আসা পরিবার-পরিজন, আনন্দ-ঐতিহ্যের অভাব পূরণ করে দেয়।

ভজন কীর্তন পরিবেশনা
ভজন কীর্তন পরিবেশনা