লিবিয়ায় প্রথম বাংলা স্কুল-লাইব্রেরি

লাইব্রেরির শেলফে বই
লাইব্রেরির শেলফে বই

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় আজ থেকে আটত্রিশ বছর আগে। গত আট বছর ধরে দেশটির অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে অসংখ্য নামীদামি স্থাপনা, প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান হারিয়ে গেলেও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এখনো পর্যন্ত সগৌরবে টিকে আছে বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজ। শুধুমাত্র টিকে আছে বললে কম হবে বরং প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চলছে উন্নয়নের নতুন মাত্রা সংযোজনের। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে একটি স্কুল লাইব্রেরির।

গত শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) ফিতা কেটে লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করেন স্কুল ও কলেজের সভাপতি ও লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর আ স ম আশরাফুল ইসলাম। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শিহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী পরিষদের সদস্য আমির হোসাইন ও মো. শাহজালাল, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সাইফুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন, জাবের আল-মাহমুদ ও নিকোলাস রোজারিও। এ ছাড়া ছিলেন ব্যাংকার রাকিব হাসানসহ স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীরা।

ফিতা কেটে লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন আ স ম আশরাফুল ইসলাম
ফিতা কেটে লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন আ স ম আশরাফুল ইসলাম

উল্লেখ্য, এটিই লিবিয়ায় প্রথম বাংলাদেশি গ্রন্থাগার। এই গ্রন্থাগারের বই সংগ্রহে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রাক্তন কাউন্সেলর রাজনৈতিক এম মোজাম্মেল হকের অবদান অনস্বীকার্য।

লাইব্রেরিতে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার ও সত্যজিৎ রায়সহ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখকের জনপ্রিয় বইয়ের সমাহার। এ ছাড়া, রয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক, ইতিহাস ও জীবনীভিত্তিক, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক, শিশুতোষ ও ধর্মীয় বইয়ের বিশাল সংগ্রহ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমবেতদের একাংশ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমবেতদের একাংশ

এক বুক স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই গ্রন্থাগারটি লিবিয়ার সকল প্রবাসী বাংলাদেশির মেধা বিকাশে সহায়ক হবে ও শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করবে, এটাই সকলের প্রত্যাশা।