বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা

সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন মো. লুৎফর রহমান
সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন মো. লুৎফর রহমান

ভারতের আইটি রাজধানী ও সিলিকন ভ্যালি খ্যাত বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা ২০১৮। এ উপলক্ষে মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উদ্যোগে সেখানে এক সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ মিশন কর্তৃক এ বছর প্রথমবার মুম্বাইয়ে ও দ্বিতীয়বার বেঙ্গালুরুতে এ মেলা উদ্‌যাপিত হয়েছে।

উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ শীর্ষক বিষয়টিকে প্রতিপাদ্য করে স্থানীয় পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মুম্বাইয়ে নিয়োজিত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান। তিনি সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক যেমন; বর্তমান সরকারের গৃহীত কল্যাণমূলক পদক্ষেপ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির কারণে দেশের অর্থনীতি, জীবনযাত্রার মান, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, বৈদেশিক বিনিয়োগ, রপ্তানি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়ন ও অর্জিত সাফল্য তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

সেমিনারে ব্যাঙ্গালুরুর চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দেভেস আগারওয়াল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের (আইসিসিআর) আঞ্চলিক পরিচালক পি ভিনুগোপাল বক্তব্য দেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সাম্প্রতিক সময়ে অর্জিত বাংলাদেশের উন্নয়নের ওপর বেশ কয়েকটি ভিডিওচিত্রও এ সময় প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে—‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে’, ‘বাংলাদেশ: সোনালি আগামী দিন’, ‘গৌরবময় অর্জনে আলোকিত স্বদেশ’, ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’, ‘শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’, ‘বিনিয়োগ বিকাশ, জলবায়ু রক্ষা’ ও ‘ক্ষুধামুক্তির সংগ্রামে বাংলাদেশ’ ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানে বেঙ্গালুরুর স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তি, ব্যাঙ্গালুরুতে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একাংশ এবং মুম্বাই মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা–কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় আলোচকেরা বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন ও বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

উন্নয়ন মেলার শেষে ব্যাঙ্গালুরুর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আনন্দ উদ্দীপনায় মুখরিত অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ এ সময় একখণ্ড বাংলাদেশে পরিণত হয়। আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

অনুষ্ঠানের শেষে উপহাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান ব্যাঙ্গালুরুতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক বিশেষ সভায় মিলিত হন। এ সময় তিনি সকলকে পড়াশোনার পাশাপাশি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি