মরিশাসের রডরিগ দ্বীপে উন্নয়ন মেলা

মেলায় রেজিনা আহমেদ উপস্থিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন
মেলায় রেজিনা আহমেদ উপস্থিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন

মরিশাসের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে দেশটির রডরিগ দ্বীপে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রবাসী ও স্থানীয় অতিথিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে চতুর্থ উন্নয়ন মেলা। গত মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর এ নিয়ে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো উন্নয়ন মেলা আয়োজন করা হলো। এর আগে গত ৫ অক্টোবর রাজধানী পোর্ট লুইসে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে চতুর্থ উন্নয়ন মেলা আয়োজন করা হয়েছিল।

মেলায় দেশটিতে নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ উপস্থিত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, এ উন্নয়ন মেলা আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান সরকারের সময়ে হওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সাফল্য, রূপকল্প ২০২১, রূপকল্প ২০৪১ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা। এ মেলা অব্যাহত উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করতে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঈপ্সিত দারিদ্র্যমুক্ত ও ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আমাদের সহযোগিতা ও অনুপ্রাণিত করবে।

রডরিগের চিফ কমিশনার লুইস সার্জ ক্লেয়ারকে স্মারক উপহার দিচ্ছেন রেজিনা আহমেদ
রডরিগের চিফ কমিশনার লুইস সার্জ ক্লেয়ারকে স্মারক উপহার দিচ্ছেন রেজিনা আহমেদ

রেজিনা আহমেদ রডরিগে কর্মরত সকল প্রবাসীদের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের আচার-আচরণ ও কর্মস্থলে যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বৈধভাবে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের মতো মেগা প্রজেক্ট স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে।

উন্নয়নের প্রেক্ষিত সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাহসী ও দূরদর্শী উন্নয়নকৌশল নিতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক প্রগতি সাধিত হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ উচ্চ মর্যাদায় আসীন হয়েছে।

প্রবাসী ও স্থানীয় অতিথিদের একাংশ
প্রবাসী ও স্থানীয় অতিথিদের একাংশ

প্রবাসী বাংলাদেশিরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে জেনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

এ ছাড়া, রেজিনা আহমেদ রডরিগের চিফ কমিশনার লুইস সার্জ ক্লেয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতে নির্মাণ সেক্টরে আরও বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিজ্ঞপ্তি

প্রবাসী ও স্থানীয় অতিথিদের একাংশ
প্রবাসী ও স্থানীয় অতিথিদের একাংশ