বেঁচে থাকাই সবচেয়ে বড় বিস্ময়

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

তোমরা যাহারা রহিয়াছ অসামান্য সুন্দর এই ধরণির পরে 

সুনিশ্চিত ভাবিয়াছ এই জীবনের বয়ে যাওয়া দিনগুলি।
হাসিতেছ, খেলিতেছ, নির্বিকারে গাহিতেছ গান
অপরূপ ধরণির অমৃত সুধা কত অকাতরে করিতেছ পান।
ভাবিয়াছ কখনো কি আমরাও একদা ছিলাম তোমাদেরই মতো
শতদল মেলে নানা বর্ণে আমাদেরে করিয়াছি প্রস্ফুটিত।
রাজা, মহারাজা, রথী, মহারথী শাসন করিয়াছি
এই ধরণিরে, গর্ব ভরে, দাম্ভিকতায় উচ্চ করি শির
ভাবিয়াছি এ জীবন অনন্ত, কে বা আছে আমাদের মতো
চিরঞ্জীব, শতায়ু, পরাক্রমশালী, দুর্দান্ত, দুর্দমনীয় মহাবীর।
আজি হতে শতবর্ষ আগে যাহারা ছিল এই ধরণির পরে
কেহ কি আছে আমরা দেখিয়াছিলাম যাহাদের
তেমনি যাহারা আছে, ঠিক আজি হতে শত বর্ষ পরে থাকিবে কি কেহ
পড়িবে কি পদচিহ্ন এই ধরণির পরে তাহাদের?
ক্ষণিক দাঁড়াও এই সমাধির পাশে হে ব্যতিব্যস্ত পথিক
একটু ভাবিয়া দেখিবে কী যাহা তুমি করিতেছ উহা কি সঠিক?
ক্ষণস্থায়ী জীবনের তরে করিতেছ কত কী সঞ্চয়
কিছু কি করিয়াছ তুমি অনন্ত জীবনের লাগি হেথা থাকিতে নির্ভয়?
অনন্তের যাত্রাপথ তোমা হতে খুব বেশি দূরে নয়
বেঁচে আছ এই ধরণির পরে এইটাই সবচেয়ে বড় বিস্ময়।
...

নুরুল হুদা পলাশ: সাস্কাতুন, সাস্কাচেওয়ান, কানাডা।