ব্রিসবেনে ব্যাব বাংলাদেশ নাইট
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের ব্রিসবেনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন ইনক আড়ম্বরের সঙ্গে উদ্যাপন করেছে ব্যাব বাংলাদেশ নাইট ২০১৮। গত ২৫ নভেম্বর রোববার ব্রিসবেনের জেনেসিস খ্রিষ্টান কলেজে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিকেল ৩টা থেকে ব্রিসবেনে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ অন্য দেশিরা মিলিত হন ব্যাব বাংলাদেশ নাইট নামের এ মিলনমেলায়। অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আমাদের দেশের ঐতিহ্যগুলো জানিয়ে পরের প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা আর তা অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ভিনদেশিদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।
আয়োজনে একাধারে ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, ডিপার্টমেন্ট অব হোম অ্যাফেয়ার্স, কিউপিএস ডিস্ট্রিক্ট, মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স কুইন্সল্যান্ড ও হোয়াইট রিবন থেকে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন Fil Ah San, Mick Dowdy, David Forde, Nartarshia Soo, Councillor Norm Wyndham ও Umesh Chandra প্রমুখ। তারা অনুষ্ঠানের মান দেখে যে যারপরনাই চমকিত ও চমৎকৃত হন তা বলাই বাহুল্য।
সমবেত জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর জাতীয় ভাষা সংগীত পরিবেশন করে দেশের প্রখ্যাত সংগীত নিদর্শক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক আজাদ রহমানে নাতনি রি হাসান। এরপর তাঁর মেয়ে স্বনামধন্য রোজানা আজাদও পরিবেশন করেন কয়েকটি সংগীত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিল প্রাণচঞ্চল ও বাকপটু কাজি রোমানা আহমেদ ও শান্ত। কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধিতে ভরপুর রেজোয়ান কাজি কবীর (প্রবাসী প্রজন্ম) যারা কিনা অনুষ্ঠানের পরতে পরতে বিস্ময় জমিয়ে আগ্রহী করে ধরে রেখেছিল শ্রোতাদের একেবারে শেষ পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানের মাঝে এসে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিশু দাশ গুপ্তা আয়োজনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সকল স্বেচ্ছাসেবক ও অংশগ্রহণকারীদের। এ অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল ব্রিসবেনে বসবাসরত সকল প্রতিভাবানদের এক ছাতার নিচে উপস্থাপন করে অনুষ্ঠান করানো, বিশেষত যারা নতুন প্রজন্মের। এ সময় আয়োজনকে সুষমামণ্ডিত ও অনুপ্রাণিত করতে নানা বিষয়ে পারদর্শী ছেলেমেয়েদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পুরস্কার প্রদান শেষে আবার মূল অনুষ্ঠানটি মাতায় রয়্যাল বেঙ্গল ট্রেইল ওয়াকের ব্রিসবেনের প্রতিনিধিরা। তারা গানে গানে একটি মনোজ্ঞ নাটিকা পরিবেশন করে। সবশেষে অনুষ্ঠানটি মন রাঙানোর ষোলোকলা পূর্ণ করে সেই সিডনি থেকে আগত ব্যান্ড ক্রুর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। তারা একাধারে নিজেদের অ্যালবামের সুপরিচিত গান থেকে শুরু করে জেমসের গান, কিছুই বাদ দেননি গাইতে। অনুষ্ঠানটির সফল পরিসমাপ্তি ঘটে র্যাফেল ড্রর পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে। যে পুরস্কারগুলো স্পনসর করেছিলেন স্থানীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।