ব্রিসবেনে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের সংবর্ধনা
স্বদেশকে ভালোবাসার প্রমাণ দিতে প্রস্তুত থাকেন যেকোনো দেশপ্রেমী। আর প্রবাসীদের বেলায় তো বলব তারা তাদের কর্ম দিয়ে এর প্রমাণ রাখতে সব সময়ই একটু বাড়তি চাপ লালন করেন মনেপ্রাণে।
এই তো গত বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সারা বিশ্বের সকল টিভি চ্যানেল আর মিডিয়া জগৎ নড়েচড়ে বসে বিশ্ববাসীকে এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের খবর জানিয়ে তাক লাগিয়ে দিল। ক্যানসার নির্ণয়ের একটি ইউনিভার্সাল বায়োমার্কারের সন্ধানে বিজ্ঞানীরা যখন ধ্যানরত, তখন আমাদের দেশের ড. আবু আলী ইবনে সিনা (কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো) ও তার পুরো টিমের আবিষ্কারে আচমকা ধ্যান ভাঙল ইউরেকা চিৎকারে।
তাঁর গবেষণা দল ক্যানসারের এমন একটি ইউনিভার্সেল বায়োমার্কার আবিষ্কার করেছে, যার মাধ্যমে ১০ মিনিটেই নির্ণয় করা সম্ভব হবে সকল ধরনের ক্যানসার। পৃথিবীর বিখ্যাত সব মিডিয়া—সিএনএন, ফোর্বস, নিউইয়র্ক পোস্ট, ইউএসএ টুডে, গার্ডিয়ান, টেলিগ্রাফ, কুরিয়ার মেইল ও দ্য অস্ট্রেলিয়ানসহ অস্ট্রেলিয়ার সকল টেলিভিশন চ্যানেল তার সাক্ষাৎকারসহ খবরটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রচার করেছে।
স্বনামধন্য এই বিজ্ঞানী, আমাদের স্নেহের ভাই শুভকে এমন বিশেষ অবদানের জন্য সংবর্ধনা দিতে কালক্ষেপণ করেনি ব্রিসবেনে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি। গত শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রিসবেনের কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি ফুল উপহার দিয়ে আর কেক কেটে ইবনে সিনাকে অভিনন্দিত করেন। এমন ঝটিকা আয়োজনে উপস্থিত হয়ে সবাই যেন আনন্দের সাগরে ডুব সাঁতার দিচ্ছিলেন। স্থানীয় বেঙ্গল কিচেনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, ড. সামসুল আরেফিন ভূঁইয়া (বিজ্ঞানী) ও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশেষ শুভাকাঙ্ক্ষী প্রকৌশলী শাহীনুজ্জামান প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে ডিনার টেবিলে তারাও আনন্দের বন্যায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া, ক্রিসমাস সন্নিকটে, তাই এর উৎসবের মেজাজ নিয়ে সবাই চায়ের আড্ডায় আরও কিছুটা সময় কাটিয়ে আনন্দচিত্তে বাড়ি ফেরেন মাঝরাতে।