ভিয়েতনামে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ও ভিয়েতনামে কূটনৈতিক কোরের ডিন
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ও ভিয়েতনামে কূটনৈতিক কোরের ডিন

ভিয়েতনামের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দেশটিতে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে গত রোববার (১৬ ডিসেম্বর) হ্যানয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশি ও স্থানীয় গণ্যমান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন সামিনা নাজ
বক্তব্য দিচ্ছেন সামিনা নাজ

দুপুরে প্যান প্যাসিফিক হ্যানয় হোটেলে এক বিশেষ অনুষ্ঠান, মধ্যাহ্ন ভোজ ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি, ভিয়েতনামে কূটনৈতিক কোরের ডিন (ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত), ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিরাসহ ইংরেজি দৈনিক ভিয়েতনাম নিউজের প্রতিনিধি, টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সামিনা নাজ ও কূটনৈতিক কোরের ডিন
সামিনা নাজ ও কূটনৈতিক কোরের ডিন

অনুষ্ঠানের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন ও স্বাধীনতাসংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অগণিত শহীদ ও দেশ মাতৃকার জন্য যে সব নারী সম্ভ্রমহানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের আত্মত্যাগের কথাও তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি অতিথিদের কাছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং আর্থসামাজিক অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করে বলেন, বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকলকে একযোগে কাজ করার জন্যও তিনি আহ্বান জানান।

অতিথিদের একাংশ
অতিথিদের একাংশ

কূটনৈতিক কোরের ডিন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র ‘বাংলাদেশ: এ গোল্ডেন টুমরো’ প্রদর্শন করা হয়। শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশি খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি