আবুজায় বিজয় দিবস উদ্যাপন

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শামীম আহসান
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শামীম আহসান

আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় মর্যাদা ও আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালনের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।

এ উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর রোববার স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জাতীয় সংগীতের সুরে সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর কোরআন তিলাওয়াত পাঠ শেষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়

সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে কীভাবে তাঁর নেতৃত্ব সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠী স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন। দেশের উন্নয়নের কিছু চিত্র তুলে ধরে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই উন্নয়ন সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাবে।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সমবেত বাংলাদেশিরা
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সমবেত বাংলাদেশিরা

অন্য বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের অমূল্য ত্যাগের বিনিময় হিসেবে স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে নতুন নতুন ধারণা ও উদ্যোগ নিয়ে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার ভার যেহেতু তরুণ প্রজন্মকেই নিতে হবে, তাই তাদের মাঝে দেশাত্মবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগরূক করতে হবে।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সমবেত বাংলাদেশিরা
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সমবেত বাংলাদেশিরা

আলোচনা পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাস পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে স্বাধীনতাযুদ্ধ ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যসহ সকল স্তরের প্রবাসী বাংলাদেশি, পশ্চিম বাংলার বাঙালি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।