মৃত্যুর দ্বারে দাঁড়িয়ে স্মৃতির অবগাহন

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

বর্ষাকালের ঝুম বৃষ্টি। মাঝে মাঝে বিকট শব্দে বিজলি চমকাচ্ছে। টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার রিমঝিম জল তরঙ্গের মতো চমৎকার মনোমুগ্ধকর ধ্বনির এই আওয়াজ বধির পরির কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। ভাবলেশহীন পরি একা একা ঘরের সামনের পাটাতনের ওপর বসে আছেন।

বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ ভিজে গিয়ে পরার শাড়িটা গায়ের সঙ্গে লেপ্টে আছে। মনের মাঝে প্রচণ্ড ঝড় নিয়ে স্মৃতির অবগাহনে পরি ফিরে যায় বহু বছর আগে, তাঁর শৈশবে।

অসহনীয় প্রচণ্ড কানের ব্যথায় একদিন মাঝরাতে ছোট্ট পরির ঘুম ভেঙে যায়। ব্যথার কারণে কিছুক্ষণ পর পর ফুঁপিয়ে কাঁদছে। একটু একটু করে তিন দিন থেকেই ব্যথাটা হচ্ছে। কানে আঙুল দিয়ে পানির মতো কিছু একটা অনুভব করল পরি। পরির মা পাশের ঘর থেকে উচ্চ স্বরে জিজ্ঞেস করেন, কাঁনদস কেন? কান ব্যথা করে মা, পরি উত্তর দেয়। আইচ্ছা এহন ঘুমা, কালকা নুরুছুনের লগে ডাক্তারের কাছে পাডামুনে (নুরুছুন বাড়ির ম্যানেজার)।

তারপরও পরির গোঙানির আওয়াজ পাওয়া যায়। বড় বোন আদর করে সান্ত্বনা দেয়, লক্ষ্মী বইন আমার এহন ঘুমা কালকা ডাক্তারের কাছে নিয়া গেলে মিষ্টি ওষুধ দিব তোরে। দেহিছ কানের ব্যথা এক্কেবারে ভালো হইয়া যাইব। বড় বোনের আদর আর সান্ত্বনা পেয়ে ব্যথা নিয়ে ঘুমাবার চেষ্টা করে পরি।

পরদিন যথারীতি নুরুছুন পরিকে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। কান পরীক্ষা করে ডাক্তার দেখল কানের থেকে তরল জাতীয় কিছু একটা গড়িয়ে পড়ছে। নুরুছুন ডাক্তারকে বলেন, পুসকুনিতে গোছল করতে যাইয়া কানে পানি ঢুকছে ডাক্তার সাব। ওষুধ দেন ঠিক হইয়া যাইব। ডাক্তার পরির কানে একটি ওষুধের বোতল থেকে কয়েক ফোঁটা ওষুধ ওর কানে ঢেলে দিলেন। ফেনার মতো কী যেন বের হলো। কিন্তু মুহূর্তেই চিৎকার করে পরি মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। বেশ কিছু ঘণ্টা পর পরি চোখ খুলে দেখে মা আর ভাই বোনেরা সবাই ওর পাশে বসে কাঁদছে। কানের ব্যথায় পরিও কাঁদতে থাকে। অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারের চিকিৎসার কিছুদিনের মধ্যে পরি সুস্থ হয়ে ওঠে ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ভুল করে অ্যাসিড জাতীয় কিছু একটা ঢেলে দিয়েছিল পরির কানে। যে কারণে পরির একটি কানের পর্দা ছিঁড়ে গিয়ে চিরতরে অকেজো হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে কানে কথা অস্পষ্ট হতে থাকে।

লেখিকা
লেখিকা

মদনগঞ্জ শহরের প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য বড় ব্যবসায়ী সৈয়দ মতিউর রহমান মিঞার সাত কন্যা আর তিন পুত্র সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় কন্যা হচ্ছে পরি। অসম্ভব সুন্দরী ও সুশ্রী বলে বাবা মা নাম রেখেছেন পরি বানু। বনেদি পরিবার। ব্যাপারী বাড়িতে গদির মধ্যে পুরো দিনব্যাপী বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মহাজনদের আনাগোনায় বাড়ি গমগম করে। সমগ্র বাড়িতে লোকজন, আত্মীয়স্বজন, কাজের লোক, খানাপিনা সব সময়ই জমজমাট থাকে। বড় বড় হাঁড়িতে রসনার আয়োজন করা হয় প্রতিদিন। কখনো কেউ শূন্য হাতে এ বাড়ি হতে ফেরত যায় না। এত জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে নিজের জগতে পরি ছিল নিতান্তই একা অসহায়।

আট বছরের পরি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী কানে কম শুনতে পায় বলে সবাই ওর সঙ্গে জোরে কথা বলে। স্কুলে গিয়েও তেমন একটা সুবিধা করতে পারছিল না। তাই একসময় পরির স্কুলে যাওয়াই বন্ধ হয়ে গেল। পরির অপারগতা পরিকে সবার কাছ থেকে আলাদা করে দিল। বড় সংসারে ছোট ছোট ভাই বোনদের দেখাশোনা করা, মাকে সাহায্য করা যেন নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল পরির ভাগ্যে। দূর থেকে মা মরিয়ম বেগম মেয়েকে দেখতেন আর আঁচলে চোখ মুছতেন।

দিন গড়িয়ে যেতে লাগল। ভাইবোনদের সবাই লেখাপড়া শিখে বড় হয়ে গেল। কিন্তু পরি অজ্ঞতার আবরণে অন্ধকার সাগরে আবৃত হয়ে রইল। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেল। এক এক করে ছোট বোনদেরও বিয়ে হয়ে যেতে লাগল। কিন্তু পরির কথা কেউই ভাবছে না। নিজেকে লুকিয়ে পরি গোপনে কাঁদে। একদিন দাদির কাছে পরির কষ্ট ধরা পড়ে যায়। দাদি জিজ্ঞাসা করাতে কাঁদতে কাঁদতে আফসোস করে পরি বলে, বাবায় ছোট বোনদের বিয়া দিয়া দিতাছে, আমার বিয়ার কথা কেউ ভাবে না, কয়ও না। আমারে কি বাবায় কোনো দিন বিয়া দিব না? দাদি আশ্বাস দিয়ে বলেন, সবুর কর, কান্দিস না, আমি তোর বাপের লগে কথা কমুনে। দাদির কথা অনুযায়ী পরির জন্য পাত্র খোঁজ করা শুরু হলো। যথারীতি পরির উপযুক্ত ভালো একজন পাত্র দেখে ধুমধাম করে পরিরও বিয়ে দিয়ে দেওয়া হলো। আনন্দে পরির চেহারা এখন ঝলমল করে। সবাই ওকে দেখে মনের মধ্যে শান্তি পায়। ভরসা পায় এই ভেবে যে পরি এখন ভালো আছে। সুখে আছে শ্বশুরবাড়িতে।

পুরোনো দিনের প্রচলন, মেয়েদের প্রথম সন্তান তাদের বাবার বাড়িতে হয়। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা পরিকে তার স্বামী বাবার বাড়িতে রেখে যায় বাচ্চা প্রসবের জন্য। পরিকে পেয়ে বাড়ির সবাই অনেক খুশি। পরির জীবনে সুখের সীমা নেই। নতুন অতিথির আগমনের আশায় সবার মাঝেই একটি প্রস্তুতি চলতে থাকে। কিন্তু হায়, বিধির কী বিধান মাস খানেক পর একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান পরির কোল জুড়ে পৃথিবীতে এল ঠিকই কিন্তু পৃথিবীর আলো দেখা থেকে বঞ্চিত, জন্মান্ধ হয়ে। চোখ দুটো কেমন ঘোলাটে সাদা। নবজাতকের আগমনে পরির স্বামী ও শাশুড়ি আসে দেখা করতে পরির বাবার বাড়িতে। শুরু থেকেই পরির সমস্যা। তার ওপর অন্ধ বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। এই নিয়ে পরির শাশুড়ি তার বাবা-মাকে অনেক কথা শুনিয়ে দিলেন। অতঃপর পরির শাশুড়ি ওদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অসম্মতি প্রকাশ করলেন। পরির বাবা-মা তাদের এই অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে গেলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন পরিকে তারা আর শ্বশুরবাড়িতে পাঠাবেন না।

মানুষের দুর্বল মুহূর্তে অন্যের দ্বারা বিরোধ করা অপ্রাসঙ্গিক কিছু শব্দ অন্তরাত্মায় কতখানি ওলটপালট করে দেয় যে ভুক্তভোগী সেই একমাত্র বুঝতে পারেন। অশ্রুসজল চোখে পরি দরজায় দাঁড়িয়ে স্বামী আর শাশুড়ির চলে যাওয়া দেখল। কিছুদিন পর মায়ের অবাধ্য হয়েও পরির স্বামী গোপনে দুই দুবার পরির সঙ্গে দেখা করতে আসে। বউ ও সন্তানকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরির বাবা-মাকে অনুরোধ করে। কিন্তু পরির বাবা-মা নিজের সন্তানের কষ্টের কথা ভেবে আর নিজেদের অহংকারী আত্মমর্যাদা যেন কোনো ভাবেই ক্ষুণ্ন না হয় সমাজের কাছে, এ জন্য পরির স্বামীকে বারণ করে দিলেন সে যেন এ বাড়িতে আর কখনো না আসে। বিহ্বল নির্বাক পরি বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তের ওপর আর কোনো কথা বলার সাহস পেল না। স্বামী আবারও নিতে আসবে কেবল এই আশায় বুক বেঁধে শূন্য আকাশের পানে চেয়ে পরি প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে লাগল।

বছর ঘুরে বছর আসে। দেখতে দেখতে দুই বছর পার হয়ে যায়। খবর আসে পরির স্বামী আবার বিয়ে করেছেন। এই কথা শুনতে পেরে পরির সমস্ত সাজিয়ে রাখা স্বপ্ন, দিন রাতের অপেক্ষা আর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে আছড়ে পড়ল দুই চোখের জল হয়ে। নিজের কষ্ট সামাল দিয়ে উঠতে অনেকটা সময় কেটে গেল পরির। কোনোরকম অভিযোগবিহীন মায়ের সংসারের কাজ আর নিজের বাচ্চা দেখাশোনা করে দিন অতিবাহিত করতে লাগল। বাচ্চাটার চোখ দুটোর দিকে তাকালে কেমন মায়া হয়। সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চাটির চোখ ঘোলাটে সাদা হয়ে আছে। পরির এক ছোট বোন স্বামীর বাড়ি থেকে বাড়িতে বেড়াতে এসে মরিয়ম বেগমকে অনুরোধ করল, বাচ্চাটিকে চোখের ডাক্তার দেখানো দরকার। ঢাকায় নিয়ে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে হয়তো ও দেখতে পাবে। কথামতো পরি আর তার বাচ্চাটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হলো চোখের ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন অপারেশন করলে হয়তো এই চোখ ভালো হয়ে যাবে তবে সময় লাগবে। আনন্দের অশ্রু ফেলতে ফেলতে পরি বাচ্চাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে এসে হরবর করে মাকে সব কথা এক নিশ্বাসে জানাল। মরিয়ম বেগম পরিকে আশ্বস্ত করলেন, তার বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া হবে অপারেশনের জন্য।

পরি আনন্দে আত্মহারা, ছেলেকে নিয়ে আশার আলো দেখতে পেল। দিন গড়িয়ে যেতে থাকে। পরিও দুদিন পরপরই মাকে তাগিদ দিতে থাকে। আজ যাই কাল যাই করে মরিয়ম বেগম বড় সংসারের নানাবিধ ঝামেলার কারণে অতটা মনোযোগ দিতে পারেননি। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই একদিন বাচ্চাটি টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। মরিয়ম বেগমকে পরি বাচ্চাটির জ্বরের কথা জানানোর পর ডাক্তার দেখানো হয় কিন্তু মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে প্রচণ্ড জ্বরে বাচ্চাটিকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন সন্তানকে হারিয়ে পরি পাগলের মতো হয়ে যায়। রাত দুপুরে দৌড়ে কবরস্থানে চলে যায়। ছেলের কবরের পাশে বসে বিলাপ করে কাঁদে। বাড়ির লোকজন জোর করে তাকে ধরে নিয়ে আসে। তাতেও পরি শান্ত হয় না। পাগলের মতো দৌড়ে যায় মা মরিয়ম বেগমকে মারতে। চুল ধরে টেনে বলে, তুই আমার পোলারে মারছস। ডাক্তারের কাছে নেছ নাই ওষুধ দেছ নাই। আমার সোনা মানিক মইরা গেছে। আমারে ফালায় থুইয়া গেছে গা। তুই মারছস আমার মানিকরে তুই মারছস। পরির চোখ মুখ ঠিকরে বোবা আর্তনাদ বেরিয়ে আসে। আক্ষেপ করে সেই সময় বলে আজকে আমার স্বামী থাকলে আমার জাদু সোনা মইরা যাইত না।

মরিয়ম বেগম মেয়ের এই কষ্টে নির্বাক হয়ে যান। এ কী হলো?

বাস্তবতা এতটাই কঠিন যে কখনো কখনো বুকের ভেতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন এভাবেই পরির পাগলামি চলতে থাকে। এক সময় একদম নিশ্চুপ হয়ে যায় পরি। আর কারও সঙ্গে কথা বলে না কাঁদেও না। একাকিত্বকে আঁকড়ে ধরে সামনের দিনগুলো নিরানন্দভাবে অতিবাহিত করতে থাকে। এক সময় বোনদের সবার বিয়ে হয়ে যায়। ভাইরাও বিয়ে করে নতুন বউ ঘরে নিয়ে আসে। কয়েক বছর পর পরির বাবা বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মারা যান। যুগের পরিবর্তন ও ঘর বাড়ির পরিবর্তন হলো। নতুন নতুন মানুষদের আগমন হলো কিন্তু পরি যেমনটি ছিল তেমনিই আছে। ভাবলেশহীন শূন্য দৃষ্টিতে বারান্দার এক কোনায় বসে থেকে নৈসর্গিক জীবনের পথচলা পরির নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়। বেশ কিছু বছর পর পরির মা তার বড় বউয়ের হাতে পরিকে দেখে রাখার সমস্ত দায়িত্বভার দিয়ে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করলেন।

পরি সম্পর্কে আমার আত্মীয়। যখনই বাংলাদেশে যেতাম পরিচয় দেবার পর পুরো চেহারায় হাসি টেনে এনে মাথায় মুখে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতেন, রুসনের মাইয়া আইছে, রুসনের মাইয়া। পুলাও নান, মানসো নান (পোলাও রান্না কর, মাংস রান্না কর)। চোখে তেমন দেখতে পেতেন না তারপরও খুশিতে তার বড় বড় চোখ দুটি চকচক করে উঠত। বারো বছর আগে আমার সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল। শেষবার আমাকে আর চিনতে পারেননি। ফ্যাল ফ্যাল করে শুধু মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কারণ চোখে দেখতে পেতেন না, কানে তো শুনতেই পেতেন না। কিছু জানতে চাইলে উত্তরও পাওয়া যেত না।

এখন সেই পরি অসুস্থ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তার বড় ভাইয়ের ছেলেমেয়েরা তাকে দেখাশোনা করে। হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের বিছানায় শুয়ে থাকেন। যেন অথর্ব নির্জীব একটি শরীর যার কোনো ভাষা নেই, চাহিদা নেই। বেঁচে আছেন নির্মোহ দৃষ্টি নিয়ে নিজের খেয়ালে নিজের ধ্যানে। যেন বেঁচে থাকাটা তার জন্য দুঃসহ এক শাস্তি। ক্যানসারে আক্রান্ত পরির শরীরের অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু অংশে পচন ধরেছে। বিছানায় চোখ বন্ধ করে বুকে হাত দিয়ে শুয়ে থাকেন। শরীরের কোনো যন্ত্রণা এখন আর তার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় না। মাঝে মাঝে শরীরের কিছু অংশ মৃত বলে দাবি করে। কিছু মাছি গায়ের ওপর বসে থাকে। তারপরও তার মুখে উফ্ পর্যন্ত নেই।

ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস। আচ্ছা মৃত্যুর আগ মুহূর্তে কী মৃত মানুষের শরীরের গন্ধ মাছিগুলো টের পেয়ে যায়?

সারাক্ষণই গায়ের ওপর বসে কানের কাছে ভন ভন করে একটি মাছি। মৃত্যুর দ্বারে দাঁড়িয়ে স্মৃতির অবগাহনে পরি প্রহর গুনে যাচ্ছেন অন্তিম শয্যার।

উইলি মুক্তি: নিউইয়র্ক, ডুক্তরাষ্ট্র।