বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভাষা আন্দোলনের ফসল

আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিক অর্জনের ফসল। সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবসের আলোচনায় ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা বলেন।

মো. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সারা বিশ্বে ভাষার বৈচিত্র্য উদ্‌যাপনের একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। হাইকমিশনার মহান ভাষা আন্দোলনে ভাষাশহীদ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তাঁর বাংলায় বক্তব্য প্রদানের বিষয়টিও উল্লেখ করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠান
আলোচনা অনুষ্ঠান

সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করেছে ভাষাশহীদদের। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস পালনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে মো. মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এ সময় দেশটির বাংলাদেশে কমিউনিটি ও বিভিন্ন বাংলাদেশি সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর হাইকমিশন প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন হাইকমিশনার, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সব পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

সকালে কর্মসূচির পরবর্তী অংশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সন্ধ্যায় হাইকমিশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার শুরুতে পুরান ঢাকার অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা অংশ নেন। তাঁদের পরিবেশনা আগত অতিথি ও দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে। অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান