ফ্রাঙ্কফুর্টে অভিবাসী বইমেলা

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

জার্মানির বাণিজ্যিক রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী অষ্টম ইমিগ্রেশন বা অভিবাসী বইমেলা। শহরের ঐতিহাসিক জাদুঘরে ৯ মার্চ শনিবার এই অভিবাসী বইমেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দেশটির হেসেন প্রদেশের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিমন্ত্রী অ্যাঙ্গেলা ডর্ন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জার্মানির ১৯৬৮ সালের গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবী লেখিকা গ্রেটশেন ডুচকে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী কবি, লেখক ও সাহিত্যিকসহ পাঠক ও বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিতি
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিতি

উল্লেখ্য, বাংলাদেশি অভিবাসী হামিদুল খান ফ্রাঙ্কফুর্টের অভিবাসী বইমেলার উদ্যোক্তা। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠক ও জার্মান-বাংলা সোসাইটির সভাপতি। তাঁর উদ্যোগে আট বছর আগে এই বইমেলা শুরু হয়।

শুভ উদ্বোধনের পর সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অ্যাঙ্গেলা ডর্ন বলেন, ‘এই বইমেলা প্রমাণ করে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। আর উদার সংস্কৃতিই পারে প্রাণের সম্মিলন ঘটাতে। এই মেলা আমাদের জন্য বিশেষ কিছু ও গৌরবের।’

লেখিকা ডুচকে বলেন, ‘পৃথিবীতে আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে অভিবাসী। আর অভিবাসীরাই পারে যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটাতে। ঠিক যেমনটা হামিদুল খান আট বছর ধরে করে চলেছেন।’

মেলায় বইয়ের স্টল
মেলায় বইয়ের স্টল

সিবিলে ফোগেল ও ড. সুজানে কনরাড বলেন, এই অভিবাসী বইমেলার উদ্দেশ্য হলো ভালো মানুষ সৃষ্টি করা। মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সুস্থ সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা।

আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. আলেকজান্দ্রা মুইলার।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন কবি ও সংস্কৃতিকর্মী রুখসানা দিল রিয়াজ, আমেনা হক সুইটি, বাউলশিল্পী রঞ্জু সরকার, ইয়ারিজ মাই, লাবণী ভূঁইয়া প্রমুখ। পরে কয়েকজন লেখককে সম্মাননা দেওয়া হয় ।

মেলায় বইয়ের স্টল
মেলায় বইয়ের স্টল

মেলায় বিভিন্ন অভিবাসী লেখকের লেখা বইসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সমকালীন সংস্কৃতি ও সাহিত্যের নানা বই স্থান পায়।